১১ আগস্ট থেকে বাড়তে পারে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি
প্রায় দেড় মাস ধরে দেশে বন্যা পরিস্থিতি চলছে। বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে সহসাই যাচ্ছে না এ দুর্ভোগ। কারণ, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত কমার সম্ভাবনা থাকলে এরপর থেকে ফের বাড়া শুরু হতে পারে।
আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত কুড়িগ্রাম, বগুড়া, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। তারপর মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) থেকে ফের বন্যার অবনতি হতে পারে।
শুক্রবার (৭ আগস্ট) থেকে পরবর্তী ১০ দিনের পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বাড়তে পারে। রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ, মুন্সিগঞ্জ জেলার ভাগ্যকূল ও শরীয়তপুর জেলার সুরেশ্বর পয়েন্টে আগামী চার দিন পানি ক্রমান্বয়ে কমতে পারে। ফলে আগামী চারদিন এসব জেলার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে।
ঢাকার চারপাশের নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে। আগামী সাত দিন নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর পানি বাড়তে পারে। ফলে জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি আগামী সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ডেমরা পয়েন্টে বালু নদী, মিরপুর পয়েন্টে তুরাগ নদী এবং রেকাবি বাজার পয়েন্টে ধলেশ্বরী নদীর পানি বাড়া অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে ঢাকা জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি আগামী সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে বলেও জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত বন্যাকবলিত জেলার সংখ্যা ৩৩, উপজেলার সংখ্যা ১৬৩ এবং ইউনিয়নের সংখ্যা এক হাজার ৭৩। পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা ১০ লাখ ১৭ হাজার ৯১৪ এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৪ লাখ ৬০ হাজার ২৯১ জন। বন্যায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪১।
বন্যাকবলিত জেলাসমূহে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এক হাজার ৪৩৭টি। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত লোক সংখ্যা ৪৬ হাজার ১৫৭। আশ্রয়কেন্দ্রে আনা গবাদি পশুর সংখ্যা ৭০ হাজার ৭৯০টি। বন্যাকবলিত জেলাসমূহে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে ৮৮৬টি এবং বর্তমানে চালু আছে ৩২০টি।