১০ দিনের রিমান্ডে শামীম-ফিরোজ
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
রাজধানীর নিকেতন থেকে গ্রেপ্তার করা গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের অস্ত্র ও মাদক আইনের পৃথক দুই মামলায় ৫ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
একই সঙ্গে অস্ত্র আইনের মামলায় জি কে শামীমের দেহরক্ষী মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মুরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আমিনুল ইসলামের ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার শুনানি শেষে তাদের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন।
শুক্রবার শুলশানের নিকেতনে নিজ কার্যালয় থেকে জি কে শামীমকে সাত দেহরক্ষীসহ আটক করে র্যাব। এ সময় তার অফিসে অবৈধ অস্ত্র, মাদক এবং বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও এফডিআর জব্দ করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থ পাচার আইনে তিনটি মামলা করা হয় ।
অপরদিকে জুয়ার আখড়া বন্ধে র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার ঢাকার কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সভাপতি মোহাম্মদ সফিকুল আলম ফিরোজকে দুই মামলায় হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। র্যাবের করা দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার বিকালে ফিরোজকে ঢাকার আদালতে পাঠায় ধানমণ্ডি থানা পুলিশ।
অস্ত্র আইনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নুরউদ্দিন এবং মাদক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আশিকুর রহমান আসামি ফিরোজকে ১০ দিন করে ২০ দিন হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তার দুই মামলায় ৫ দিন করে মোট ১০ দিন রিমান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ড বাতিল করে ফিরোজের জামিন চেয়েছিলেন তার আইনজীবীরা। তবে তা নাকচ করে দেন বিচারক।
কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বায়রার সিনিয়র সহ-সভাপতি ফিরোজ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৫ (শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
শুক্রবার কলাবাগান ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ফিরোজসহ পাঁচজনকে অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছিল র্যাব। অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখার অভিযোগে পরে র্যাব বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন র্যাব-২ এর পরিদর্শক মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ খান। এতে শুধু ফিরোজকে আসামি করা হয়।
বাকি চারজনকে আসামি করা হয়নি কেন- জানতে চাইলে র্যাব-২ এর অধিনায়ক আশিক বিলাহ বলেন, ওই চারজন ছিল কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের বেতনভুক্ত কর্মচারী। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা সমীচীন হত না এবং তাদের সম্পৃক্ততাও পাওয়া যায়নি।
ওই চারজনকে প্রত্যেকের অভিভাবক ডেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কঠোর বার্তার পর ঢাকায় জুয়ার আখড়া বন্ধে অভিযানে নেমেছে র্যাব, যেগুলোর সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাদের সম্পৃক্ততা বেরিয়ে আসছে।