১০ টাকা কেজি চাল বিক্রি স্থগিত
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় কর্মহীনদের সহায়তার লক্ষ্যে সরকার ঘোষিত ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির বিশেষ ওএমএস কর্মসূচি স্থগিত করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খাদ্য সচিব জানান, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বিশেষ ওএমএস কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। একদিন বিক্রির পরই আমরা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে বন্ধ রেখেছিলাম। এ কর্মসূচি স্থগিত করার আরেকটি কারণ হচ্ছে মানুষের গ্যাদারিং। এতে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন হলে এটা ফের চালু করা হবে। এখন ত্রাণের দিকেই জোরটা বেশি।
তিনি বলেন, এ মুহূর্তে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চলছে। একই সময়ে পর্যাপ্ত ত্রাণও বিতরণ করা হচ্ছে। কিছু অনিয়ম ধরা পড়ছে। তাই আমরা বন্ধ রেখেছি।
প্রসঙ্গত, দেশে বিভিন্ন স্থানে ওএমএসের চাল কালো বাজারে বিক্রি এবং কয়েকটি জায়গায় ওএমএসের চালসহ কয়েকজন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটকের পর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত আসলো।
গত ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ওএমএস খাতে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের মূল্য ৩০ টাকার স্থলে ১০ টাকা নির্ধারণ করার ঘোষণা দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ বিভাগ চালের মূল্য কেজি প্রতি ১০ টাকা নির্ধারণ করে। এরপর খাদ্য মন্ত্রণালয় সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির কারণে গৃহে অবস্থানকারী সাধারণ শ্রমজীবী, দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, পরিবহন শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানদার, ভিক্ষুক, ভবঘুরে ও অন্যান্য সব কর্মহীন মানুষের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির কার্যক্রম নেয়। সপ্তাহে প্রতি রোব, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিক্রয় কার্যক্রম চালু রাখার কার্যক্রম নেয়। একজন ভোক্তা সপ্তাহে একবার মাত্র পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারবেন।