১০ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন করা প্রয়োজন : খুবি উপাচার্য
খবর বিজ্ঞপ্তি
বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও জন্মশতবার্ষিকী (মুজিব বর্ষ) ক্ষণগণনা পালিত হয়। এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯টায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারির অংশগ্রহণে ব্যানার ফেস্টুনসহ এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে শুরু করে হাদী চত্বর ও অদম্য বাংলার সামনে থেকে পুনরায় হাদী চত্বর হয়ে কালজয়ী মুজিব প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। উপাচার্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। পরে সকাল ১০ টায় আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।
তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয়ের পর মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকেন স্বাধীনতার স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি,স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুস্থ্য শরীরে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আগের ২৫দিন দেশে অনেকটাই বিশৃঙ্খল পরিবেশ ছিলো। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছাড়া ১৬ ডিসেম্বরের পর যে বিশৃঙ্খল পরিবেশ ছিলো তা কারও পক্ষে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব ছিলো না। ১০ জানুয়ারি থেকে দেশে তাঁর একক কমান্ড কার্যকর হয়। বাঙালি প্রকৃত বিজয়ের স্বাদ পেয়েছে ১০ জানুয়ারি, দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন করা প্রয়োজন।
বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. উত্তম কুমার মজুমদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ সারওয়ার জাহান, উপ-রেজিস্ট্রার মোঃ তারিকুজ্জামান লিপন এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের মোঃ মতিউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলোচনা কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. সমীর কুমার সাধু। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।