হোয়াইট হাউসের বাইরে গুলি, ব্রিফিংয়ের মধ্যেই সরানো হলো ট্রাম্পকে
হোয়াইট হাউসের বাইরে গুলি চালানোর ঘটনার কারণে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাঝপথেই সম্মেলন কক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরিয়ে নিলো মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস।
সোমবার (১০ আগস্ট) হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্টের দৈনিক সংবাদ সম্মেলন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই এ ঘটনা ঘটে।
সেসময় ট্রাম্প এবং হোয়াইট হাউসের কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার পর সাংবাদিকদের ভেতরে রেখেই সম্মেলন কক্ষের দরজা আটকে দেওয়া হয়।
আর সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা অটোমেটিক রাইফেল নিয়ে হোয়াইট হাউসের বাইরের প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন।
ফক্স নিউজ জানায়, দু’টি গুলির শব্দ শোনা গিয়েছিল। হোয়াইট হাউসের কাছে ১৭ নম্বর স্ট্রিট এবং পেনসিলভেনিয়া অ্যাভিনিউতে গুলি চলেছে।
এর কয়েক মিনিট পর ট্রাম্প সম্মেলন কক্ষে ফিরে এসে জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এক ব্যক্তিকে গুলি করেছে এবং আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্প জানান, তিনি মনে করেন, ওই ব্যক্তির কাছে অস্ত্র ছিল। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
গুলির ঘটনার সময় সম্মেলন কক্ষ থেকে তাকে সরিয়ে ওভাল অফিসে নেওয়া হয় বলে জানান ট্রাম্প। এসময় সিক্রেট সার্ভিসের অনেক প্রশংসাও করেন তিনি।
এদিকে, এ ঘটনায় ট্রাম্প আতঙ্কিত হয়েছেন কিনা, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাকে দেখে কি আতঙ্কিত মনে হচ্ছে?’
তিনি বলেন, ‘এটি দুর্ভাগ্যজনক যে পৃথিবীটা এরকম, কিন্তু পৃথিবীটা সব সময়ই এরকম বিপজ্জনক জায়গা ছিল। এটি নতুন কিছু নয়। যদি আপনি কয়েক শতাব্দী পেছনে তাকান, দেখবেন, পৃথিবীটা সব সময় একটি বিপজ্জনক, খুবই বিপজ্জনক স্থান ছিল এবং আমার মনে হয় আরও অনেক দিন তাই থাকবে। ’
তবে হোয়াইটস হাউসের বাইরে গুলি চালানোর ঘটনা নতুন নয়। মে মাসে পুলিশের এক কর্মকর্তার হাতে কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। এমনকি হোয়াইট হাউসের বাইরেও জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা এবং বিক্ষোভ চলাকালে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।