হোন্ডা ‘ওয়াই-ই-এস’ অ্যাওয়ার্ড পেলেন বুয়েটের চার শিক্ষার্থী
খবর বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (বিএইচএল) ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার (জেআইসিই) এর সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত হোন্ডা ফাউন্ডেশন গত ৪ আগস্ট, ২০১৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে প্রথম হোন্ডা ইয়াং ইঞ্জিনিয়ার ও সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রাম চালু করে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদেরকে প্রদান করা হয়।
বিজয়ীরা হলেন- বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তনুশ্রী দত্ত, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তাহসিনা আলম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শাশ্বত সৌম্য ও ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সত্যকি বণিক।
প্রত্যেক বিজয়ীরা হোন্ডা ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড এর পক্ষ থেকে পাবে ৩০০০ মার্কিন ডলার ও একটি মোটরসাইকেল। এই প্রোগ্রামের আওতায় প্রতি বছর উল্লেখিত চার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারজন স্নাতক পাঠরত শিক্ষার্থীদের বাছাই করা হবে এবং প্রত্যেককে ৩০০০ মার্কিন ডলার দেওয়া হবে। এছাড়াও, এই প্রোগ্রামের আওতায় বিজয়ীরা আরও ১০০০০ মার্কিন ডলার পাবে, যদি তারা অ্যাওয়ার্ডটি পাওয়ার তিন বছরের মধ্যে জাপানের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর অথবা ডক্টরেট করে অথবা হোন্ডা ফাউন্ডেশনের অনুমোদিত জাপানী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা জাপানে কোনো প্রাইভেট কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপ নেয়।
অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হোন্ডা ফাউন্ডেশন এর প্রেসিডেন্ট হিরোতো ইশিদা, বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিমিহিকো কাটসুকি, এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর জামিলুর রেজা চৌধুরি, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, হোন্ডা ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সচিব কেনটো মাতসুমোতো, একমাত্রা সোসাইটি এর হিরোকি ওয়াতানাবে, বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড এর ফিন্যান্স ও কমার্শিয়াল হেড শাহ মাহমুদ আশেকুর রহমান, বিজয়ীরা, গণমাধ্যমের গণমান্য ব্যক্তি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
এই অ্যাওয়ার্ডের উদ্দেশ্য হলো এশিয়ার দেশগুলোর উন্নয়নের জন্য সেসব দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অঙ্গনের প্রতিভাবানদের উৎসাহিত করা। “ওয়াই-ই-এস” অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে প্রতিভাবানদের অনুসন্ধান ও উৎসাহিত করা হয়, ফলে তারা যেন ভবিষ্যতে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে নেতৃত্ব দিতে পারে। যা মানবসভ্যতার উন্নয়নে এবং মানুষ ও পরিবেশের মধ্যে সঙ্গতি বিধানে সহায়তা করবে। অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামটি সর্বপ্রথম চালু করা হয় ভিয়েতনামে ২০০৬ সালে এবং বর্তমানে এশিয়ার অন্যান্য দেশ: ভারত, কম্বোডিয়া, লাওস ও মিয়ানমারে এ প্রোগ্রামটি চালু রয়েছে। এ দেশগুলো অর্থনৈতিক দিক থেকে দ্রæত উন্নতি করছে। প্রোগ্রামটি প্রতিটি দেশে ভিন্নভাবে চালু রয়েছে। ৬ষ্ঠ দেশ হিসেবে বাংলাদেশে এই অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে।