হাসপাতাল থেকে ছুটি মিললো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের
সুস্থ হয়ে উঠতে থাকায় হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
তবে এখনই তিনি পুরোপুরি কাজে ফিরছেন না বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে জনসন এক সপ্তাহ হাসপাতালে থাকা এবং টানা তিন রাত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) কাটানোর পর রোববার ছাড়া পেলেন।
চিকিৎসক দলের পরামর্শ মেনেই জনসন আপাতত কাজ করছেন না। জনসন খানিকটা সুস্থ হওয়ার পরই স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন।
লন্ডনের সেইন্ট টমাস হাসপাতালের আইসিইউ থেকে বেরিয়ে তিনি প্রথমেই বলেছিলেন,তাদের কাছে ‘আজীবন ঋণী’ থাকবেন।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরও জনসন ভাল সেবাযত্ন পাওয়া এবং তার জীবন বঁচানোর জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে ধন্যবাদ দিয়েছেন।
জনসনের কথায়, “কেবল ধন্যবাদ দেওয়াই যথেষ্ট না, আমি আজীবন তাদের কাছে ঋণী।” তার এ মন্তব্য এক বিবৃতি দিয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছে জনসনের কার্যালয়।
পরে টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় জনসন বলেন, সামনের সারিতে থাকা হাসপাতাল কর্মীদের সাহস দেখেছেন তিনি। তারা এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে গেছে। তাদের এ সাহস, আত্মত্যাগ, কর্তব্যনিষ্ঠা এবং ভালোবাসার কথা প্রকাশের ভাষা নেই তার।
৫৫ বছর বয়সী জনসনের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ ধরা পড়ার ১০ দিন পরও কাশি ও জ্বর থাকায় ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শে গত ৫ এপ্রিলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
৬ এপ্রিলে তাকে স্থানান্তর করা হয় ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ)। সেখানে তাকে রাখা হয়েছিল ৯ এপ্রিল পর্যন্ত।
পরদিন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর একজন মুখপাত্র তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র থেকে ওয়ার্ডে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানান। সেখানেও তিনি সেরে ওঠার প্রাথমিক পর্যায়ে নিবিড় নজরদারিতে ছিলেন।
এখন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী জনসন ইংল্যান্ডে তার কান্ট্রি হাউস চেকার্সে বিশ্রামে থেকে সেরে উঠবেন। ডাউনিং স্ট্রিট কার্যালয় এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে।
শনিবার যুক্তরাজ্যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ৯১৭ জনের মৃত্যু নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৯ হাজার ৮৯২ জনে। রোববারই এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৬১২ জনে।
দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু বাড়তে থাকার এ সময়ে জনসন কাজে না থাকায় চাপ সামলাতে হচ্ছে তার মন্ত্রীদেরকে।