হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে যা বললেন কাদের
হাসপাতালে ১২ দিন চিকিৎসা নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) হাসপতাল থেকে সরাসরি সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন তিনি।
এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি ১২ দিন হাসপাতালে ছিলাম। হাসপাতাল থেকে রিলিজ পেয়ে আমি বাসায় না গিয়ে সরাসরি এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছি। আমি এর মধ্য দিয়ে বোঝাতে চাচ্ছি যে, আমি এই কর্মসূচিটাকে কতটুকু গুরুত্ব দিচ্ছি।
ঢাকা নগর পরিবহনের বাস রুট পাইলটিংয়ের উদ্বোধন করে সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেক উন্নতি আমরা করেছি। সমতল থেকে পাহাড় পর্যন্ত এটা একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন। টার্গেট অনুযায়ী আগামী বছর নির্দিষ্ট সময়ে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে। উদ্বোধন হবে মেট্রোরেল, বাস র্যাপিট ট্রানজিটসহ বেশ কিছু মেগা প্রকল্প। অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যাপক হওয়ার পরও স্বস্তি পাচ্ছি না। আমরা যতই উন্নয়ন করি না কেন সফলতা যাদি জনগণ না পায় তাহলে স্বস্তি থাকে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সমস্যা হচ্ছে সড়কের শৃঙ্খলা। সড়কে শৃঙ্খলা যদি না থাকে তবে যত উন্নয়ন হোক না কেন এর সফলতা আমরা পাবো না। এই চ্যালেঞ্জ যদি আমরা অতিক্রম করতে না পারি তাহলে জনগণ উন্নয়নের সুফল পাবে না। মালিক শ্রমিক যারা আছেন তাদের সকলে সহযোগিতা চাই। তারা যদি সহযোগিতা না করে তবে এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা যাবে না।
তিনি বলেন, যানজটপ্রবণ ঢাকা মহানগরী। এ বিষয়টি মাথায় রেখে দুই মেয়র যে উদোগ গ্রহণ করেছেন, তার জন্য তাদেরকে স্বাগত জানাই। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে কোনো বাধা এলে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। ঢাকা সিটির অপরিচ্ছন্ন ও অপরিকল্পিত দুরাস্থার উত্তারাধিকার আমরা বহন করছি। দুই মেয়র এ সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রায়ত মেয়র আনিসুল হক যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তা আজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সারা ঢাকায় এই বাস সার্ভিস চালু করা হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস। বক্তব্য দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম আতিক, মোহাম্মদপুরের এমপি সাদেক খান প্রমুখ।
এর আগে ১৪ ডিসেস্বর সকালে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওবায়দুল কাদের।