‘হাসপাতালে ৯০ পার্সেন্ট সিট বুকড, ডাক্তার-নার্সরাও ক্লান্ত’
জনগণ সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধ তথা ‘লকডাউন’ না মানায় বিস্ময় প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘প্রত্যেক রাষ্ট্রের সক্ষমতার একটা সীমাবদ্ধতা আছে। হাসপাতালে ৯০ শতাংশ সিট প্রায় বুকড হয়ে গেছে।
ডাক্তার-নার্সরাও ক্লান্ত হয়ে গেছেন। ’
সোমবার (২৬ জুলাই) ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘লকডাউন’ মানাতে হবে। ‘লকডাউনে’র বিষয়ে অনেকের অনীহা, অনীহা হলে চলবে না। আগে জীবন বাঁচবে, তারপরে অর্থনীতি। আপনি জীবনে বেঁচে থাকলেন না, তাহলে অর্থনীতি দিয়ে কী করবেন? অর্থনীতি বাঁচাতে হলে বাঁচতে হবে। বাঁচতে হলে ‘লকডাউন’ মানতে হবে। ভ্যাকসিন নিতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। কিন্তু আমরা খুব দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, ‘লকডাউনে’র তিন-চার দিন চলছে, কিন্তু রাস্তাঘাটে যেভাবে মানুষ চলাফেরা করছে, যেভাবে গাড়ি চলাচল করছে, আমরা তাতে খুবই দুঃখিত। তারা ‘লকডাউন’ ব্রেক করতেছে এবং নিজেদের ক্ষতি করতেছে। ’
‘আপনারা জানেন, প্রত্যেক রাষ্ট্রের সক্ষমতার একটা সীমাবদ্ধতা আছে। হাসপাতালেও সীমাবদ্ধতা আছে, ৯০ শতাংশ সিট প্রায় বুকড হয়ে গেছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, যতদূর পারি করে যাব। বঙ্গমাতা কনভেনশন সেন্টার আগামী শনি বা রোববার চালু করব। তারপর কোনটা চালু করব? এরপর তো অবস্থা নাই যে আমরা একটা হাসপাতাল স্থাপন করব। ডাক্তার-নার্সরাও ক্লান্ত হয়ে গেছেন। তারা আর কত কাজ করবেন। দেড় বছর ধরে, তারা আর কত কাজ করবেন,’ প্রশ্ন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
চিকিৎসক ও নার্স সংকট মেটাতে উদ্যোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নতুন চার হাজার ডাক্তার নিচ্ছি। নার্সও চার হাজার নেওয়া হচ্ছে। অনুরোধ করেছি ইন্টারভিউ না নেওয়ার, পুলিশ ভেরিফিকেশনের দরকার নাই। তাদের তাড়াতাড়ি কাজে যোগদান করার জন্য। ’
‘আমরা অনুরোধ করব, জনগণকে একটু সচেতন করার, বয়স্ক যারা আছে, তারা যাতে ভ্যাকসিন নেয়, টেস্ট করায় এবং যেখানে সংক্রমিত হচ্ছে, সেখানে না যায়,’ যোগ করেন মন্ত্রী।