হাসপাতালে উহানফেরত সবার অবস্থা ‘স্থিতিশীল’
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে চীনের উহান থেকে ফেরা ৩১২ জনের মধ্যে যে আটজনকে জ্বরের কারণে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল, তাদের সবার অবস্থা ‘স্থিতিশীল’ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সরকারের রোগতত্ত¡, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুশতাক হোসেন বলেন, তাদের সবার তাপমাত্রা এখন ঠিক আছে। অবস্থা স্টেবল। রক্ত পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আজকালের মধ্যেই ফলাফল জানা যাবে। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে চীন থেকে আসা যাত্রীদের পর্যবেক্ষণের এই পুরো প্রক্রিয়ায় সাবেক কর্মকর্তা মুশতাকের অভিজ্ঞতা সরকার কাজে লাগাচ্ছে।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ডা. এবিএম বেলায়েত হোসেন বলেন, যাদের এখানে আনা হয়েছে তাদের কারও এখন জ্বর নেই। অন্য কোনো সমস্যাও নেই। তারা ভালো আছেন।
বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে শনিবার ওই ৩১২ জনকে উহান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। তারপর বিমানবন্দরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরীক্ষা করে জ্বর পাওয়া গেছে সাতজনকে কুর্মিটোলা হাসপাতাল এবং একজন নার্সকে সিএমএইচে পাঠানো হয়।
ওই নার্স অন্তঃসত্ত¡া হওয়ায় তার স্বামী ও সন্তানকেও তার সঙ্গে সিএমএইচে থাকতে দেওয়া হয়। বাকি সবাইকে আশকোনার হজ ক্যাম্পে নিয়ে রাখা হয় পর্যবেক্ষণে। সেই নার্সের অবস্থাও এখন স্থিতিশীল রয়েছে এবং বাকিদের কারও মধ্যে কোনো উপসর্গ এখনও দেখা যায়নি বলে জানান মুশতাক হোসেন।
চীনে নতুন এই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর থেকেই সেখান থেকে ফেরা যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং হচ্ছে শাহজালাল বিমানবন্দরে। রোববার পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৬৯১ জনের স্ক্রিনিং হয়েছে, তাদের মধ্যে রবিবার এসেছেন ২৭৮ জন। তাদের কারো শরীরে জ্বর বা অন্য কোনো উপসর্গ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ডা. জেবিন।
নতুন এ করোনাভাইরাসের সংক্রমণে শনিবার পর্যন্ত চীনে ৩০৪ জনের এবং ফিলিপিন্সে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। চীনের বাইরে দুই ডজন দেশে শতাধিক মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ায় এবং কখনও চীনে যাননি এমন মানুষও আক্রান্ত হতে শুরু করায় বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ রবিবার চীনা নাগরিকদের ‘অন অ্যারাইভাল’ ভিসা সুবিধা স্থগিত করেছে।