হাসপাতালের আইসিইউতে এখনও দুই শতাধিক করোনা রোগী
করোনা রোগীদের সুচিকিৎসায় ডেডিকেটেড ঘোষিত দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে এখনও দুই শতাধিক করোনা রোগী নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালের আইসিইউতে ১৮৫ এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৬ জনসহ সর্বমোট ২১১ করোনা রোগী ভর্তি রয়েছেন।
রাজধানীসহ সারাদেশে করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা আগের চেয়ে কম। কিন্তু মৃতের সংখ্যা তুলনামূলক অনেক বেশি। অধিকাংশ রোগী হাসপাতালে বিশেষ করে আইসিইউতে মারা যাচ্ছেন। তাদের বেশির ভাগেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা মারা যাচ্ছেন তারা বয়স্ক এবং ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও কিডনিজনিত সমস্যায় আগে থেকেই আক্রান্ত ছিলেন। ফলে আইসিইউতে চিকিৎসা পেলেও তাদের বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীতে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৩১০টি। এর মধ্যে বর্তমানে রোগী আছে ১৮৫ জন। আইসিইউ বেড ফাঁকা রয়েছে ১২৫টি।
বিভিন্ন হাসপাতালের মধ্যে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ১৪, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১০, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ১৮, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ৯, বিএসএমএমইউতে ১৪, মিরপুর লালকুঠি হাসপাতালে এক, রেলওয়ে হাসপাতাল কমলাপুরে ১৪, মহাখালী শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে ৯, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতলের দশ, বসুন্ধরা কোভিড হাসপাতালে পাঁচ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ২৭, আজগর আলী হাসপাতালে ১৫, ইবনে সিনা হাসপাতালে আট, ইউনাইটেড হাসপাতালে ১৮, এভারকেয়ার হাসপাতালে ১০ এবং ইমপালস হাসপাতালে ১৪ রোগী ভর্তি রয়েছেন।
ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে আইসিইউ বেড সংখ্যা ৩৯টি। এর মধ্যে ভর্তি রয়েছে ২৬টিতে। ফাঁকা রয়েছে ১৩ বেড।
বিভিন্ন হাসপাতালের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচ, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল চট্টগ্রামে ১০, চট্টগ্রাম হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে দুই, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ছয়, চট্টগ্রাম বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালে তিনজন ভর্তি রয়েছেন।