হাম-রুবেলার টিকা দিতে অভিযান শুরু ১৮ মার্চ
দেশজুড়ে হামের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় শিশুদের হাম ও রুবেলার টিকা দিতে ১৮ মার্চ থেকে তিন সপ্তাহের অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে সরকার।
এর আওতায় দেশের নয় মাস থেকে ১০ বছর বয়সী সব শিশুকে ১১ এক ডোজ করে ‘এমআর টিকা’ দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন।
জাতীয় হাম-রুবেলা (এমআর) টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২০ নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সংম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
স্বাস্থমন্ত্রী বলেন, হাম রোগ নিয়ন্ত্রণে এর আগে ২০০৬, ২০১০ ও ২০১৪ সালে টিকা অভিযান হয়। ২০১৭ সাল থেকে রোগটির প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় নতুন অভিযানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
“এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সারাদেশে ৯ মাসে থেকে ১০ বছরের নিচের প্রায় তিন কোটি ৪০ লাখ শিশুকে (পূর্বে এমআর টিকা পেয়ে থাকলেও) আবারও এক ডোজ এমআর টিকা দেওয়া হবে।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া তিন সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অভিযান চলবে।
অভিযানের প্রথম পর্যায়ে ১৮ মার্চ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত দেশের ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৮৯টি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণি বা সমপর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৮ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত দুই লাখ ৪৪ হাজার ৪৪৪টি নিয়মিত, স্থায়ী ও অতিরিক্ত টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে বাকিদের টিকা দেওয়া হবে।
এর বাইরে দোকান বা বাজার, কারখানা, রাইস মিল ইত্যাদিতে কর্মরত মায়েদের শিশু, বেদে বহরের শিশু, সুবিধাবঞ্চিত শিশু, যারা বাস বা রেল স্টেশনে ঘুমায়, হাসপাতালে ভর্তি বা মায়েদের সঙ্গে অবস্থানরত শিশু, জেলখানায় মায়েদের সঙ্গে অবস্থানরত শিশু, পতিতালয়ের শিশু, বস্তির শিশু ও দুর্গম এলাকার শিশুদের টিকা দিতে আলাদা টিকাকেন্দ্র বসানো হবে।
হাম-রুবেলার লক্ষণ হচ্ছে জ্বরের সঙ্গে গোলাপী বর্ণের র্যাশ ওঠা। প্রথমে র্যাশ মুখে দেখা গেলেও পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে তা সারা গায়ে ছড়িয়ে পড়ে। গ্রীষ্মকালে রোগটির সংক্রমণ বেশি ঘটে।
কোনো গর্ভবতী নারী রুবেলায় আক্রান্ত হলে তার পরিণতি খুবই খারাপ হতে পারে। তবে একবার টিকা নিলে সারা জীবনের জন্য সুরক্ষা পাওয়া যায়।
প্রতিরোধযোগ্য রোগ থেকে শিশু মৃত্যুর হার কমানোর লক্ষ্যে ১৯৭৯ সাল থেকে বাংলাদেশে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) ইপিআই কর্মসূচি চালু হয়। এর আওতায় টিকাদান কর্মসূচি পরিচালিত হয়।