হাত ধোয়ার পর ত্বকের যত্ন
বারবার ধোয়ার কারণে হাতের ত্বক শুষ্ক বোধ হলে ব্যবহার করতে হবে ময়েশ্চারাইজার।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া রোধ করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিয়মিত অ্যাল্কোহল ভিত্তিক পরিষ্কারক বা সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
সুস্থ থাকতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী হাত ধুতে হবে। এর পাশাপাশি ত্বকের যত্নের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। বার বার হাত ধোয়ার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।
চিকিৎসা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে বার বার হাত ধোয়ার পরে ত্বকের অভ্যন্তরীণ অবস্থা অনুযায়ী যত্ন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে জানানো হল।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার: প্রতিনিয়ত সাবান ও অ্যাল্কোহল ভিত্তিক পরিষ্কারক ব্যবহার করার কারণে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক। সাবান ত্বকে খসখসে, লালচেভাব এবং হাতে জ্বলুনি সৃষ্টি করতে পারে। যাদের ত্বক ভালো এটা তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাই হাত ধোয়ার পরে প্রতিবার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।
সাবানের বিকল্প: ‘অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল’ উপাদান সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ত্বককে আক্রমিত হওয়া থেকে বাঁচায়। কিছু কিছু উপাদান আছে যা ফেনা সমৃদ্ধ এবং তা সাবানের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া, এটা ত্বকের পক্ষে কোমল; রুক্ষতা ও ফাটাভাব থেকে রক্ষা করে। যদি অ্যাল্কোহল ভিত্তিক জেল বা সাবান ব্যবহার করে থাকেন তাহলে হাত ধোওয়ার পরে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
ভালো মতো হাত শুকান: পানিও হাত শুষ্ক করে ফেলে। এতে ত্বকের প্রাকৃতিক তেলও হ্রাস পায়। হাত ধোয়ার পরে তা সঠিকভাবে শুকানো উচিত। মনে রাখতে হবে, হাত ভেজা অবস্থায় সংক্রমণ দ্রুত বংশ বিস্তার করতে পারে।
সারাদিন ত্বকের আর্দ্রতা সুরক্ষিত রাখা: হাত ধোয়ার পরে তা ময়েশ্চারাইজ করা যেমন জরুরি তেমনি সারাদিনই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখাও প্রয়োজন। হাত শুষ্ক অনুভব হলেই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্ততা বজায় থাকে এবং দীর্ঘক্ষণ সুরক্ষিত রাখতে পারে।
কাজের সময় গ্লাভস ব্যবহার: কোনো কিছু ধোয়ার সময় পানির সংস্পর্শ থেকে হাতকে সুরক্ষিত রাখতে পানি রোধী হাতমোজা ব্যবহার করা উচিত। এছাড়াও ত্বক শুষ্ক করে ফেলে যেমন- বাসন মাজার বা কাপড় ধোয়ার সাবান। তাই এই ধরনের কাজের সময়ও গ্লাভস ব্যবহার করতে পারেন। যা হাতে সাবান লাগার পরিমাণ কমিয়ে ত্বক অনেক্ষণ কোমল রাখতে সাহায্য করে।