হাওরের ৬২% ধান কাটা শেষ: কৃষি মন্ত্রণালয়
করোনাভাইরাস সঙ্কটের মধ্যে দেশের হাওর অঞ্চলের ৬২ শতাংশ ধান কৃষকরা কেটে ইতোমধ্যে ঘরে তুলেছেন বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে
মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ইতোমধ্যে হাওরের প্রায় ৬২ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে। পাকা অবস্থায় (কাটা বাকি) রয়েছে ১৪ শতাংশ এবং এখনও ২৪ শতাংশ বোরো ধান পাকেনি।”
কৃষক ও শ্রমিকদের উৎসাহ দিতে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বুধবার সুনামগঞ্জ সদরের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ এবং তাহিরপুর উপজেলায় হাওরে কৃষকের বোরো ধান কাটা পরিদর্শনে যাবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া- এই সাত জেলায় শুধু হাওরে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৩৯৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে।
এর মধ্যে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত কাটা হয়েছে ২ দশমিক ৭৪ লাখ হেক্টর জমির ধান, যা হাওরে মোট আবাদের ৬২ শতাংশ।
সিলেটে ৬৫ শতাংশ, মৌলভীবাজারে ৭২ শতাংশ, হবিগঞ্জে ৫৫ শতাংশ, সুনামগঞ্জে ৬৫ শতাংশ, নেত্রকোণায় ৭৪ শতাংশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭০ শতাংশ এবং কিশোরগঞ্জে ৪৭ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ হওয়ার তথ্য জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
এ বছর বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ কোটি ৪ লাখ ৩৬ হাজার মেট্রিক টন। এ লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ২০ শতাংশ আসবে হাওর অঞ্চল থেকে।করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে সব অফিস আদালত বন্ধ রেখেছে, সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলও বন্ধ।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় এবং কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ এড়াতে বেশিরভাগ মানুষ ঘরে থাকায় হাওর অঞ্চলের ধান কাটার শ্রমিক সংকট দেখা দেয় এবার।
পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শ্রমিকদের ধান কাটতে হাওর এলাকায় পাঠানো হয়। এদের রাতে থাকার জন্য ওইসব এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও খুলে দেওয়া হয়েছে।