হাইকোর্টে নিষিদ্ধ ৬০০ কেজি মধুমতি লবণসহ সান চিপস-আইসক্রিম ধ্বংস
খুলনায় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান
দ: প্রতিবেদক
খুলনায় হাইকোর্ট কর্তৃক নিষিদ্ধ ভেজাল ও নিম্নমানের ৫২টি পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় এবং বিভিন্ন জেলা কার্যালয়। গতকাল সোমবার পরিদর্শনমূলক এ অভিযান নগরীর বড় বাজার ও শামসুর রহমান রোড এলাকায় পরিচালিত হয়। এসময় ৬০০ কেজি মধুমতি লবণ, ১৪ প্যাকেট সান চিপস ও প্রায় ২ হাজার পিস নকল আইসক্রীম ধংস করা হয়। অভিযানে ১২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, অভিযান চলাকালে নগরীর সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, গলামারী ও রূপসা স্ট্যান্ড রোড এলাকায় মেসার্স সাজ্জাদ স্টোর, বাংলাদেশ বেকারী, আয়শা স্টোরকে হাইকোর্ট কর্তৃক নিষিদ্ধ মধুমতি লবণ, সান চিপস রাখার রাখার বিভিন্ন অপরাধে বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ নাজমুল হাসান ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থায় সাজ্জাদ স্টোরকে ২ হাজার টাকা, বাংলাদেশ বেকারীকে ২ হাজার টাকা ও আয়শা স্টোরকে ১ হাজার টাকা এবং মানিক মিয়ার আইসক্রিমকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আনুমানিক ২ হাজারটি নকল আইসক্রীম স্পটে ধ্বংস করা হয়। এসময় মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করেন। এছাড়া রূপসা স্ট্যান্ড রোড এলাকায় শাহ আমানত এন্টারপ্রাইজ- এর নিকট প্রাপ্ত প্রায় ৬০০ কেজি মধুমতি লবণ স্পটে ধ্বংস করা হয়।
এদিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিভিন্ন টিকিট কাউন্টার-এ পরিদর্শনমূলক তদারকিতে কনক বাস কাউন্টারকে মূল্য তালিকা না থাকার দায়ে জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ২ হাজার জরিমানা আরোপ ও আদায় করেন। জরিমানার অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো স্বেচ্ছায় পরিশোধ করেন।
অভিযান পরিচালনাকালে ব্যবসায়ী এবং উপস্থিত জনসাধারণের মাঝে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর লিফলেট ও প্যাম্পলেট বিতরণ করা হয় এবং সকলকে ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্যাবলী হতে বিরত থাকার অনুরোধ করা হয়। অভিযানে সার্বিক সহায়তা ছিলেন কনজুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), খুলনা-এর প্রতিনিধি এবং নিরাপত্তায় ছিলেন বাংলাদেশ আনসার বাহিনী, খুলনা-এর সদস্যবৃন্দ।