হস্তান্তর ৪৮, ১৯ মরদেহের বিপরীতে ৩৬ ডিএনএ নমুনা
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ৬৭ জনের মধ্যে ৪৮ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি রয়েছে ১৯টি মরদেহ। যা ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া হস্তান্তর সম্ভব নয়। হস্তান্তরিত মরদেহ দু’টি হলো জাফর আহমেদ ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর।
এছাড়া বাকি থাকা মরদেহগুলো (১৯টি) বেশি পুড়ে যাওয়ায় শনাক্তকরণে ৩৬ স্বজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছে ঢাকা জেলা প্রশাসন ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এ বিষয়ে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আতিকুর রহমান জানান, আমরা গতকাল রাত পর্যন্ত ৪৬ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ করেছি। আজ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দু’টি মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে সকালে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নামে এক ব্যক্তির মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে এবং অপরটি জাফর আহমেদ নামে আরেক ব্যক্তির মরদেহ স্যার সলিমুলাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে শনাক্ত করে নিয়ে গেছে স্বজনরা।
এ বিষয়ে সিআইডির সহকারী ডিএনএ অ্যানালিস্ট নুসরাত ইয়াসমিন বলেন, শুক্রবার থেকে আজ (শনিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৯টি অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহের বিপরীতে আমরা এখন পর্যন্ত দাবিদার ৩৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছি। আমরা এখন অপেক্ষা করছি মরদেহের দাবিদার আর কোনো স্বজন আসে কিনা। কেউ এলে আমরা তাদেরও ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করব। তবে আগামীকাল আমরা আর ঢামেকে থাকবো না। এরপর নমুনা দিতে হলে সিআইডির কার্যালয়ে আসতে হবে।
বুধবার (২০ ফেব্র“য়ারি) রাতের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৬৭ জন পুড়ে মারা যায়। চকবাজারের নন্দকুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানশনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আবাসিক ভবনটিতে কেমিক্যাল গোডাউন থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।