হরমোনের তারতম্যে নাক বড় হয়ে গিয়েছিল: নুসরাত
অভিনয়ের পাশাপাশি অনেক অভিনয়শিল্পী টিভি কিংবা রেডিও শো সঞ্চালনা করে থাকেন। টলিউড অভিনেত্রী ও তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহান এ তালিকায় যুক্ত হয়েছেন। একটি এফএম রেডিওতে ‘ইশক উইথ নুসরাত ভালোবাসা বোল্ড’ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করছেন তিনি। গত কয়েকটি পর্বে মদন মিত্র, অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী অতিথি হিসেবে হাজির হয়ে গোপন কথা শেয়ার করেন। এবার দর্শকের সঙ্গে খোলামেলা আড্ডা দিলেন সঞ্চালক নুসরাত। জানালেন নিজের অনেক ‘বোল্ড’ তথ্য।
শোয়ে এক ব্যক্তির প্রশ্ন ছিল চলতি বছর নুসরাতের সবচেয়ে সাহসী পদক্ষেপ কী ছিল? জবাবে নুসরাত জাহান বলেন—‘আমি ঘণ্টায়-ঘণ্টায়, মিনিটে মিনিটে বোল্ড স্টেপ নিতেই থাকি। সেসব তো আর উপুর করে বলা যাবে না, তবে চলতি বছরে নিজের সবচেয়ে সাহসী পদক্ষেপ ছিল মা হওয়ার পুরো জার্নিটা। মানসিক-শারীরিকভাবে অসম্ভব সব পরিবর্তনের শরিক হওয়া থেকে শুরু করে সবকিছু মানিয়ে নেওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। বাকি পাঁচজন মায়ের মতোই; গর্ভে সন্তান থাকাকালীন শরীরে হরমোনের তারতম্যের ফলে নিজের আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকত না। ছোট্ট ছোট্ট বিষয়ে কারণ-অকারণে কেঁদে ফেলতাম, বাড়ির গাছ মারা গেলেও কেঁদে ফেলতাম। আবার কারণে-অকারণেও খুশি হতাম।’
অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন গুঞ্জন চাউর হয়েছিল নাকের সার্জারি করেছেন নুসরাত। এ বিষয়ে এই সাংসদ বলেন, ‘যারা ভেবেছেন নাকের সার্জারি করিয়েছি, তাদের উদ্দেশে বলি এই হরমোনের তারতম্যের জন্যই আমার নাকটা বড় হয়ে গিয়েছিল। চামড়ার রং ‘টু-টোনড’ হয়ে গিয়েছিল, জেব্রার মতো লাগছিল। তবে এখন যেহেতু সন্তানের জন্ম দিয়ে ফেলেছি, তাই ধীরে ধীরে আবার আগের জায়গায় ফিরে আসছি। ওই সময়ে যে হারে ট্রোলড হয়েছিলাম, অসম্ভব মানসিক জোর না থাকলে হয়তো পারতাম না।’
আত্মবিশ্বাসী নুসরাত জাহান জোর গলায় বলেন—‘এটা আমার জীবন, তাই যা করেছি কোনো ভুল করিনি। আমার জীবন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’