হত্যার পর পাথর বেঁধে শীতলক্ষ্যায়, আটক ৩
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
পুরবশত্রুটার জেরে গাজীপুরে এক জেলেকে হত্যার পর পাথর বেঁধে শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবিয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ নারগানা এলাকায় এক সপ্তাহ আগে ঘটনাটি ঘটলেও প্রকাশ পায় মঙ্গলবার সকালে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার তিন জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। আটকরা হলেন স্থানীয় নারগানা এলাকার পরিমল (৫০), তার ছেলে পাপন (২০) ও তাদের প্রতিবেশী অলক (৩০)। গত বুধবার নারগানা এলাকার জেলে বোরহান উদ্দিন মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন। এক সপ্তাহ পর মঙ্গলবার একই এলাকার তিন জনকে আটক করা হয় বোরহানকে হত্যার অভিযোগে।
বোরহানের শ্যালক মো. মানুনের বরাত দিয়ে স্থানীয় জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান খান ওরফে ফারুক মাস্টার বলেন, গত বুধবার বিকালে বোরহান নৌকা ও জাল নিয়ে ওই নদীতে রাতভর মাছ ধরার প্রস্তুতি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন।
ফারুক মাস্টার জানান, পরদিনও বোরহান বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন আশপাশে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ নেয়। সন্ধান না পেয়ে তার স্ত্রী কালীগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন।
চেয়ারম্যান আরও জানান, মঙ্গলবার সকালে নারগানা গুদারাঘাট এলাকায় অলকের সঙ্গে মামুনের কথা হচ্ছিল। এ সময় অলক বোরহানকে নিয়ে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে শুরু করলে মামুনসহ স্থানীয় অন্যদের সন্দেহ হয়।
এক পর্যায়ে সন্দেহ হলে অলককে আটক করে মামুন ও এলাকাবাসী তার (চেয়ারম্যান ফারুক মাস্টার) কাছে খবর দেয় বলে ফারুক মাস্টার জানান। তিনি বলেন, পরে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে অলক স্বীকার করেন যে গত বুধবার রাতে নৌকায় শাবল দিয়ে বোরহানের মাথায় আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়। পরে জাল দিয়ে তার লাশ পেঁচিয়ে তাতে ইট-পাথর বেঁধে নৌকাসহ নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়।
এক বছর আগে নৌকা ও জাল চুরির ঘটনা নিয়ে পরিমলদের সঙ্গে বোরহানের শত্র“তা সৃষ্টি হয় বলে চেয়ারম্যান জানান। কালীগঞ্জ থানার ওসি আবু বকর জানান, এলাকাবাসী অলককে ধরে পুলিশে দিয়েছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরে পুলিশ দক্ষিণ নারগানা এলাকা থেকে পরিমল ও তার ছেলে পাপনকে আটক করে। এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে টঙ্গী ফায়ার স্টেশন তিন সদস্যের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে নদীতে তল্লাশি অভিাযান শুরু করেছে বলে জানান ওসি।