November 23, 2024
লাইফস্টাইল

হঠাৎ জ্বরের কারণ ফ্লু নাকি কোভিড ১৯ বুঝবেন যেভাবে

শীত আসতেই সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন কমবেশি সবাই। শীত আসতেই বেড়ে যায় নানা রোগের ঝুঁকি। যার মধ্যে অন্যতম হলো ফ্লু। আবার শীত এলে করোনা সংক্রমণও বেড়ে যায়।

এ কারণে কমবেশি সবাই সাধারণ সর্দি-জ্বরের সঙ্গে কোভিড ১৯ এর লক্ষণকে গুলিয়ে ফেলেন। কারণ কোভিডের উপসর্গও সর্দি-জ্বর দিয়েই শুরু হয়।

তাহলে কীভাবে বুঝবেন আপনি সাধারণ ফ্লু নাকি কোভিডে ভুগছেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড আর সাধারণ ফ্লু’র উপসর্গগুলো প্রায় একইরকমভাবে প্রথমদিকে প্রকাশ পায়।

তবে কিছু লক্ষণ আছে যা সাধারণ ফ্লু থেকে করোনার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, সাধারণ সর্দি-কাশি নাকি কোভিডে ভুগছেন কীভাবে বুঝবেন-

সাধারণ ফ্লু ও করোনাভাইরাস সংক্রমণ

করোনা ভাইরাসের মতোই সাধারণ ফ্লু’র ক্ষেত্রেও ভাইরাস ছড়ায় বাতাসের মাধ্যমে। অন্যদিকে করোনাভাইরাস বাতাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে আবার মানুষের সংস্পর্শে এলেও হতে পারে।

সাধারণ ফ্লু কয়েক দিনের মধ্যেই সেরে যায়। আবার এর প্রভাবও খুব একটা গুরুতর রূপ ধারণ করে না। অন্যদিকে কোভিড-১৯ এর প্রভাবে আক্রান্তদের সর্দি-কাশি মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।

সাধারণ ফ্লু ও করোনার উপসর্গ

সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, জ্বর, শরীর ব্যথার মতো সাধারণ উপসর্গ ফ্লু’র কারণে হয়। এসব লক্ষণ কিন্তু করোনা রোগীদের ক্ষেত্রেও প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে হিসেবে দেখা গেছে।

তবে করোনায় সংক্রমিত হলে আক্রান্তরা স্বাদ ও গন্ধ টের পাওয়ার ক্ষমতা হারায়। এমনটি অবশ্য সাধারণ ফ্লু’র ক্ষেত্রে হয় না। এ ছাড়াও বমি বমি ভাব, ক্লান্তি এসব লক্ষণ করোনার ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়।

সাধারণ সর্দি-কাশি টের পাওয়ার আরও একটি লক্ষণ হলো ২-৩ দিনের মধ্যে আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে ওঠেন। অন্যদিকে করোনার ক্ষেত্রে ৩-৫ দিন পর্যন্ত সর্দি-কাশিতে ভুগে থাকেন আক্রান্তরা। আবার ১৪ দিন পরেও উপসর্গগুলো দেখা যায়।

এ কারণে সর্দি-কাশি, জ্বর বা গলা ব্যথা হলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়বেন না। ২-৩ দিন সময় দিন। নিজের শরীরকে বোঝার চেষ্টা করুন। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবেন না।

পাশাপাশি খেয়াল রাখুন গলা ব্যথা, ঠান্ডা লাগা ও জ্বর ছাড়া করোনার অন্য কোনো উপসর্গ চোখে পড়ছে কি না। ২-৩ দিনের মধ্যে যদি অবস্থার পরিবর্তন না ঘটে, তাহলে কোভিড ১৯ পরীক্ষা করে দেখুন।

না হলে সামান্য ভুলের জন্য পরিবারের সবাই আক্রান্ত হতে পারেন। এজন্য বাড়ির অন্যদের থেকে আলাদা থাকুন। সবসময় মাস্ক ব্যবহার করুন। অসুস্থ হওয়ার পরপরই আলাদা ঘর, বাথরুম, পোশাক, থালা-বাসন ব্যবহার করুন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *