হজ: পরিস্থিতি আরও দেখার পরামর্শ সৌদির
নভেল করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে এখনই হজের পরিকল্পনা না করে পরিস্থিতি স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে সৌদি আরব।
দেশটির হজ ও ওমরাহ বিষয়কমন্ত্রী মোহাম্মদ সালেহ বেনতেন মঙ্গলবার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে আল-আখবারিয়ায় বিশ্ব মুসলিমের উদ্দেশ্যে এ আহ্বান।
তিনি বলেন, হজ ও ওমরাহ পালনে ইচ্ছুকদের সেবায় সৌদি আরব পুরোপুরি প্রস্তুত। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে আমরা যখন বৈশ্বিক মহামারী মোকাবেলা করছি, তখন সৌদি আরব মুসলিমসহ অন্য নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
“তাই পরিস্থিতি স্পষ্ট হওয়া পর্যন্ত হজের বিষয়ে কোনো চুক্তিতে না যেতে আমরা সব দেশের মুসলিম ভাইদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
নভেল করোনাভাইরাস ছড়ানোর ভয়ে গত মাসের শুরুর দিকে মৌসুমের ওমরাহ স্থগিত করা হয়।অভূতপূর্ব এই পদক্ষেপের কারণে এবছরের হজ নিয়ে তখনই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।
জুলাইতে অনুষ্ঠেয় এক সপ্তাহের হজ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ২৫ লাখ মুসলিম এবারও আসার কথা। এসময় তারা মক্বা ও মদিনা শহরের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। হজ মৌসুমে যে আয় হয় তা সৌদি আরবের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখে।
ওমরাহ হজ স্থগিত ছাড়াও ভাইরাস ছড়ানো ঠেকাতে সৌদি আরব সব আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী ফ্লাইট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছে এবং গত সপ্তাহে মক্কা-মদিনা সহ কয়েকটি শহরে আগমন-বহির্গমন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির অধীনে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ানোর যে পরিকল্পনা রয়েছে তার মেরুদণ্ড ও সৌদি আরবের জন্য বড় ব্যবসার উৎস এই হজ।
বিশ্ব মুসলিমের এই সর্ববৃহৎ সম্মিলনী বাতিল হলে সেটা হবে আধুনিককালের সবচেয়ে অভূতপূর্ব ঘটনা। তবে এর আগেও ইবোলা প্রাদুর্ভাবের সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে হজযাত্রীদের আগমন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
সৌদি আরবে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে দেড় হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১০ জন মারা গেছেন। বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত ৮ লাখ ২৫ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪০ হাজারের বেশির মৃত্যু হয়েছে।