হজ: অপেক্ষা সৌদি সরকারের সিদ্ধান্তের
সব ধরনের প্রস্তুতি থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত হজ করতে আগ্রহীদের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
হজের বিষয়ে সৌদি আরব সরকার কি সিদ্ধান্ত নেয়, সে পর্যন্ত আগ্রহীদের অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে সরকার।
ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে সৌদি আরব বিদেশিদের ওমরাহর অনুমতি দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করেছিল আগেই। এখান পুরো দেশ রয়েছে লকডাউনে; মসজিদে জামাতে নামাজ পড়াও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ কারণে এখনই হজের পরিকল্পনা চূড়ান্ত না করে পরিস্থিতি স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে সৌদি আরব।
এমন অনিশ্চয়তার মধ্যে হজের যেতে নিবন্ধনের সময় ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েও কোটা পূরণ করা সম্ভব হয়নি।
সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজার জন হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
কিন্তু ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৪৫৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬১ হাজার ১৩৭ জনসহ মোট ৬৪ হাজার ৫৯৪ জন নিবন্ধন করেছেন।
এ প্রসঙ্গে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, “বর্তমানে সারা বিশ্বের পরিস্থিতি তো সবাই দেখছেন। সৌদি সরকার যদি বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক, এ বছর হজ পালিত হবে। তখন আমরাও হজ করতে পাঠাব।”
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন বলেন, “নিবন্ধন হয়েছে, এখন বাকি কি? প্রশিক্ষণ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এটা ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হয়ে যাবে। আর সৌদি সরকার যখন ঘোষণা দেবে যে এ বছর হজ হবে, তখন তারা সময় দিয়েই দেবে।
“হজে যেতে হলে যদি নিবন্ধন হয়ে যায় তখন আর তেমন কাজ বাকি থাকে না। সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া ও মোয়াল্লেম ফি সেটা সৌদি সরকার ঘোষণা দিলে অল্প সময়ের মধ্যেই হবে।”
বাংলাদেশ সরকার সেভাবেই সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে তিনি জানান।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩০ জুলাই অর্থাৎ ৯ জিলহজ হজ হবে এবার।
নিবন্ধনের কোটা পূরণ না হওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “সবকিছু করোনাভাইরাসের উপর নির্ভর করে। এটার জন্যই তো সবকিছু। আল্লাহর রহমতে হজ হলে যারা নিবন্ধন করেছেন তারা যাবেন।”
এ বছর ১ মার্চ থেকে হজে যেতে আগ্রহীদের নিবন্ধন শুরু হয়। সে সময় ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু ৮ মার্চ দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী ধরা পড়লে নিবন্ধনে ভাটা পড়ে। এরপর প্রথম দফায় ২৫ মার্চ, দ্বিতীয় দফায় ৮ এপ্রিল এবং শেষ দফায় ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়।