November 26, 2024
আন্তর্জাতিক

হংকংয়ে বিক্ষোভকারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে রেখেছে পুলিশ

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

হংকংয়ে অবরুদ্ধ পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটকে রেখেছে পুলিশ। রোববার রাতভর ওই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের পর পুলিশ পুরো ক্যাম্পাস ঘিরে রেখেছে। গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে প্রায় ১শ’ বিক্ষোভকারী দৌড়ে ক্যাম্পাস ছাড়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং টিয়ার গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে।

রাতে পুলিশ ক্যাম্পাস ঘিরে ফেলার পর বিক্ষোভকারীদের ওই এলাকা ছাড়ার তৃতীয় প্রচেষ্টা ছিল সেটি। বিক্ষোভকারীরা পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের অনেককে আটক করে। ঘটনার বেশ কিছু ছবিতে দেখা গেছে, কাঁদুনে গ্যাসের ঘন ধোঁয়ার মধ্যে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ধরে মাটিতে শুইয়ে ফেলছে।

ক্যাম্পাসে এক হাজারের মতো বিক্ষোভকারী আছে বলে জানিয়েছেন হংকং এর একজন গণতন্ত্রপন্থি আইনপ্রণেতা টেড হুই। পুলিশ এর আগে ক্যাম্পাস থেকে বেরুনোর একটি  পথ চিওং ওয়ান রোড সাউথ ব্রিজ দিয়ে বিক্ষোভকারীদের বেরিয়ে যেতে বললেও তাদেরকে অস্ত্র ফেলে দিয়ে গ্যাসমুখোশ খুলে ফেলার শর্ত দিয়েছিল। ব্রিজটি এখন সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হুই।

পুলিশ হয়ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালাবে না তবে তারা পলায়নকারীদের ধরার চেষ্টা করছে বলেই মনে হচ্ছে। বলেন, গণতন্ত্রপন্থি আইনপ্রণেতা হুই চি-ফুং। তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে যারা আছে তারা সবাই গ্রেপ্তার হতে পারে। স্কুল ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষ এবং আইনপ্রণেতারা পুলিশের সঙ্গে লিয়াজো করার চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। বিক্ষোভকারীদের একজায়গায় আটকে রাখার জন্য পুলিশ বেষ্টনি দিচ্ছে। তাদের এ কৌশল নেওয়ারে কোনো কারণও তারা ব্যাখ্যা করেনি।

ক্যাম্পাসে আকটে থাকা ১৯ বছরের এক বিক্ষোভকারী বলেছেন, তারা দীর্ঘ সময় ধরে সেখানে আটকে আছেন। একথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি বলেন, জানিনা এভাবে আমাদেরকে কতক্ষণ কাটাতে হবে। আমাদের আন্তর্জাতিক সাহায্য দরকার হতে পারে।

আরেকজন বিক্ষোভকারী বলেন, আমরা মোটেও চলাফেরা করতে পারছি না। পুলিশও চুপ করে নেই… তারা এখনো রাবার বুলেট ছোড়াসহ নানাভাবে আমাদেরকে আক্রমণ করছে। চীনের মূলভূখণ্ডে বন্দি প্রত্যর্পণ নিয়ে একটি প্রস্তাবিত বিল বাতিলের দাবিতে গত জুন মাসে হংকংয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছিল।

টানা আন্দোলনের মুখে ওই বিল প্রথমে ‘মৃত’ এবং পরে বাতিল ঘোষণা করা হলেও আন্দোলন থামেনি। বরং গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীরা এখন তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের আওতা আরও বিস্তৃত করার দাবি তুলে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *