স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি: মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ২০২১ সালে শুধু ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন নয়, আমরা অনুকরণীয় হতে পেরেছি। এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সফলতার গল্প বলে শেষ করা যাবে না। সক্ষমতা অনুযায়ী তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আমরা যা অর্জন করেছি তার থেকে কয়েক লাখ গুণ সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেছেন, আমাদের রোবট ব্যবস্থাপনা করতে হবে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করতে হবে, হার্ডওয়্যার ব্যবস্থাপনা করতে হবে। এজন্য নিজেদের নতুন প্রযুক্তিতে দক্ষ করতে হবে। শুধু সফটওয়্যার রপ্তানিই আমাদের বাজার নয়, সব ধরনের ডিজিটাল পণ্য ও কার্যক্রমই আমাদের বাজার। একদিন আমরা রোবটও রপ্তানি করবো। আমাদের সবগুলো তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠনগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়ক সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
সোমবার (১৩ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির ভূমিকা এবং বেসিস শর্টকোড’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন— জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) ড. রুবানা হক প্রমুখ। প্যানেল আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন বেসিস ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু দাউদ খান।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, এখন আমাদের সন্তানদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থাপনায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি আমরা তৈরি করতে পারি এমন বিদেশি সফটওয়্যার যেনো আগামীতে আর দেশে না আসে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। দেশে আমাদের ছেলে-মেয়েদের তৈরি সফটওয়্যার দেখতে চাই। সফটওয়্যারের সঙ্গে আইটি অ্যানাবল সার্ভিস থেকেও আমরা রপ্তানি আয় বাড়াতে চ
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, স্বপ্নকে সক্ষমতার চেয়ে বড় করতে হবে। এটাই সফলতার মূল। এ জন্য প্রায়োরিটি ফোকাস করতে হবে। এ ক্ষেত্রে খাদ্যনিরাপত্তা ও কৃষির পরই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে প্রযুক্তিকে। স্মার্ট হতে হলে স্মার্ট অপারেবিলিটি, ডেটা এবং আইডেন্টিফিকেশন প্ল্যাটফর্মকে জোড়া দিয়ে একটি টেকসই আর্কিটেকচার নকশা করতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না প্রযুক্তি আমাদের ভবিষ্যৎ।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে আমাদের শ্রম নির্ভর অর্থনীতি আজ শিল্প, সেবা ও প্রযুক্তি নির্ভরতায় রূপান্তরিত হয়েছে। সরকার আজকে নিজেই ক্রেতা হয়ে ৯৯৯, ৩৩৩, ১৬২৬৩, ১০৯, ১০৬ কলসেন্টারসহ ২০টি মন্ত্রণালয়ের কলসেন্টার করেছে।
পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ‘বেসিস কনট্যাক্ট সেন্টার’ উদ্বোধন করেন। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠনটির সদস্যরা যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে ও দ্রুত বেসিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন ও সদস্যসেবা উন্নত ও কার্যকরী হয়। সেই লক্ষ্যে বেসিস কনট্যাক্ট সেন্টারের জন্য বিটিআরসি অনুমোদিত শর্টকোড (১৬৪৮৮) চালু করা হয়।