স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে আজীবন ঋণী থাকবো: জনসন
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার চিকিৎসায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাদের কাছে ‘আজীবন ঋণী’ থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন।
টানা তিন রাত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) কাটানোর পর খানিকটা সুস্থ হয়ে ওঠা ৫৫ বছর বয়সী এ রাজনীতিক লন্ডনের সেইন্ট টমাস হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে যুক্তরাজ্য এরই মধ্যে সাড়ে নয় হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু দেখেছে; পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রাণপণ চেষ্টার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর এ ধন্যবাদ এলো বলে বিবিসি জানিয়েছে।
শনিবার যুক্তরাজ্যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ৯১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয় হাজার ৮৯২ জনে। রোববারই এ সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
সংক্রমণের হার কমিয়ে আনতে দেশটিরা মন্ত্রীরা উষ্ণ ও রৌদ্রকরোজ্জ্বল আবহাওয়া সত্ত্বেও জনসাধারণকে ইস্টারের ছুটিতে ঘরে থাকতে অনুরোধ করেছেন।
বিবিসি জানায়, আইসিইউ থেকে বেরিয়ে আসার পর দেওয়া প্রথম বিবৃতিতে জনসন তার চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও নার্সদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
“কেবল ধন্যবাদ জানানোই যথেষ্ট হবে না। তাদের কাছে আমার আজীবণের ঋণ,” বলেন তিনি।
শনিবার যুক্তরাজ্য সরকারের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল বলেছেন, বিশ্রাম, রোগমু্ক্তি ও সুস্থ হয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রীকে এখনও পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে।
বিবিসির রাজনৈতিক প্রতিবেদক বেন রাইট বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী কবে হাসপাতাল ছাড়বেন, কিংবা তার দপ্তরে ফিরবেন সে বিষয়ে ধারণা দিতে চাইছে না ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট। সম্ভবত তিনি শিগগিরই কাজে ফিরতে পারছেন না। প্রধানমন্ত্রীর বিশ্রাম ও সুস্থ হতে কয়েক সপ্তাহও লাগতে পারে এবং সে পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাবই তার (জনসন) ডেপুটি হিসেবে কাজ চালিয়ে নেবেন; লকডাউনের পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রীরা যখন পর্যালোচনা করবেন, তখনও রাবই দায়িত্বে থাকবেন।”
রোববার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এক বার্তায় যুক্তরাজ্যের জনগণকে ইস্টারের শুভেচ্ছাও জানানো হয়েছে।
“এ বছর দেশজুড়ে গির্জাগুলো বন্ধ থাকবে; পরিবারগুলোরও দিনটি আলাদা কাটবে। মনে রাখবেন, ঘরে থেকে আপনি স্বাস্থকর্মীদের সুরক্ষিত রাখছেন, জীবন বাঁচাচ্ছেন,” বলা হয়েছে এ বার্তায়