স্বস্তির ড্রয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ
ক্রীড়া ডেস্ক
ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোল মেলেনি। তাই আবারও লাওসকে হারানোর লক্ষ্য পূরণ হয়নি। তবে স্বস্তির ড্রয়ে ঠিকই ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার বাছাইয়ের প্রথম রাউন্ডে দুই দলের ফিরতি পর্বের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। প্রথম পর্বে লাওসের মাঠে ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ।
একাদশে দুটি পরিবর্তন আনেন বাংলাদেশ কোচ। আরিফুর রহমান ও মতিন মিয়ার বদলে জায়গা পান মামুনুল ইসলাম ও প্রথম পর্বে বদলি হিসেবে নেমে গোল করা রবিউল হাসান। দ্বিতীয় পর্বে যেতে ড্র যথেষ্ট ছিল বাংলাদেশের জন্য। অন্যদিকে কমপক্ষে ২-১ গোলের জয় দরকার ছিল লাওসের। প্রথমার্ধে স্বাগতিকদের তেমন কোনো পরীক্ষাই নিতে পারেনি দলটি।
সুযোগ পেলেও গোল পায়নি বাংলাদেশ। অষ্টম মিনিটে জামাল ভূইয়ার ফ্রি-কিকে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড় হেডের পর বল পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার আগে পা ছোঁয়াতে পারেননি ইয়াসিন খান। সপ্তদশ মিনিটে নাবীব নেওয়াজ জীবন গোলরক্ষক বরাবর শট নেন।
২৫তম মিনিটে ইয়াসিনের দুর্বল ব্যাক পাসে বিপদে পড়তে পারত বাংলাদেশ। দ্রুত ছুটে এসে বিপদমুক্ত করেন রানা। পাল্টা আক্রমণে বিশ্বনাথ ঘোষের লম্বা করে বাড়ানো বল গোলরক্ষকের গায়ে লেগে পেয়ে যান জীবন। কিন্তু তিনিও ঠিকানা খুঁজে পাননি।
৩৭তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ নষ্ট হয় বাংলাদেশের। রবিউলের উঁচু করে বাড়ানো বল আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জীবনের হেডে জালে জড়ানোর প্রচেষ্টা ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।
বিপলু আহমেদের বদলি নামা মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ৫৩তম মিনিটের ক্রসে দুর্বল হেডে সুযোগ নষ্ট করেন জীবন। ৭৮তম মিনিটে জীবনের ক্রসে আরেক বদলি ফরোয়ার্ড মাহবুবুর রহমান সুফিল গোলমুখ থেকে টোকা দিতে ব্যর্থ হলে হতাশা বাড়ে গ্যালারিতে আসা হাজার দশেক সমর্থকের।
সোহেল রানার ক্রসে ৮৮তম মিনিটে লক্ষ্যভ্রষ্ট হেডে হতাশা আরও বাড়ান ইব্রাহিম। তবে শেষের বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা নিশ্চিত হয়ে যায় দলের। নিশ্চয়তা মেলে আরও দুই বছর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে খেলার।