স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি ক্রয়: যোগ হচ্ছে আরও ৮ প্রতিষ্ঠান
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলার মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনতে আরও আট প্রতিষ্ঠানকে যোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাইদ মাহবুব।
তিনি জানান, আজকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২৪তম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৩২তম সভা হয়েছে। সভায় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিতে একটি প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
সাইদ মাহবুব বলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি ক্রয়ের মাস্টার বিক্রয় এবং ক্রয় চুক্তি (এমএসপিএ) স্বাক্ষরকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আরও ৮টি বাড়িয়ে চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এই ৮ প্রতিষ্ঠান হলো- জাপানের এলএনজি জাপান করপোরেশন, সোকার ট্রেডিং ইউকে লিমিটেড, কোরিয়ার পোক্সো ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন, কাতার এনার্জি ট্রেডিং এলএলসি, জাপানের ইনপেক্স করপোরেশন, সিঙ্গাপুরের প্যাভিলিয়ন এনার্জি ট্রেডিং অ্যান্ড সাপ্লাই পিটিই লিমিটেড, পেট্রোচীনা ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড এবং পিটিটি ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড।
এলএনজি কেনার জন্য কোম্পানির সংখ্যা বাড়ানো হলো। কিন্তু জানা মতে এলএনজি কেনা এখন বন্ধ, তাহলে কীভাবে এটা করলো? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অতিরিক্ত সচিব বলেন, আওতা বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাব এনেছে। আগে ১৬টা প্রতিষ্ঠান ছিল, এখন নতুন করে আর ৮টি প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করেছে। ভবিষ্যতে যখন কেনার কার্যক্রম চালাবে তখন এই ২৪টি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাবে। প্রতিযোগিতা বাড়ানোর জন্য এটা করা হয়েছে।
খুব শিগগির এলএনজি কেনা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরকম কিছু সভায় আলোচনা হয়নি।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অসমাপ্ত কর্মসূচিসহ অন্যান্য কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়। এ জন্য অনুষ্ঠানের বিভিন্ন সেবা ক্রয়ে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।