স্ত্রীর পরকীয়ায় এইবার আত্মহত্যা চট্টগ্রাম মেডিকেলের এক চিকিৎসকের
আমাদের দেশেতো ভালবাসায় চিটিং এর শাস্তি নেই। তাই আমিই বিচার করলাম, আর আমি চির শান্তির পথ বেছে নিলাম
অনলাইন প্রতিবেদক
এইবার স্ত্রীর প্রতারণা সইতে না পেরে আত্মহত্যা করল চট্টগ্রাম মেডিকেলের এক চিকিৎসক। মোস্তফা মোরশেদ আকাশ (৩২) নামের ওই চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেলের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে কর্মরত ছিলেন। তিনি চন্দনাইশ উপজেলার বাংলাবাজার বরকল এলাকার আবদুস সবুরের ছেলে। পরিবারের সদস্যদের মতে নিজের শিরায় বিষ প্রয়োগ করে নিজের জীবনের ইতি ঘটান আকাশ।চান্দগাঁও থানার ওসি আবুল বশর বলেন, আকাশের স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে একবার দেশে আসার পর তিনি আবার বিদেশে চলে যান। মৃত্যুর আগে নিজের ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস লিখেন তিনি যেটা থেকে জানা যায় নিজের স্ত্রীর সাথে প্রেম করে বিয়ে হয় ২০১৬ সালে। অনেক বছরের সম্পর্ক ছিল তাদের কিন্তু নানান সময়ে স্ত্রীর নানান পুরুষের সাথে ওঠা বসা মেনে নিতে পারেন নি আকাশ। স্ত্রীকে শুধরানোর সুযোগ দিলেও তার স্ত্রী মিতু নিজেকে শুধরাতে পারেনি। এই কষ্ট সইতে না পেরে আজকে ভোর রাতে আত্মহত্যা করেন তিনি।
আজকে সারাদিন ফেসবুকে বেশ সারা ফেলে তার এই পোস্টটি যেটা কয়েক হাজার ইউজার শেয়ার করে তার স্ত্রীর বিচার চেয়েছে তারা। ফেসবুকের আকাশের লেখাটি হুবাহু তুলে ধরা হলঃ
“আমার সাথে তানজিলা হক চৌধূরী মিতুর ২০০৯ সাল থেকে পরিচয় প্রচন্ড ভালবাসি ওকে । ও নিজেও আমাকে অনেক ভালবাসে আমরা ঘুরে বেড়ায় , প্রেম করে বেড়ায় আমাদের ভালবাসা কম বেশি সবাই জানে। অনেকে বউ পাগলাও ডাকত।২০১৬ তে আমাদের বিয়ে হয় বিয়ের কয়েকদিন আগে জানতে পারি কিছুদিন আগে শোভন নামে চুয়েটের ০৮ ব্যচের এক ছেলের সাথে ও হোটেলে রাত কাটায় আর কত কি লজ্জা লাগছে সব লিখতে।ততদিনে সবাইকে বিয়ের দাওয়াত দেওয়া শেষ আমাকে যেহেতু চট্রগ্রামের সবাই চিনে তাই বিয়ে কেনসেল করতে পারিনি লজ্জাতে। ওর মোবাইল এ দেখি ভাইবারে দেখতে পাই মাহবুব নামে কুমিল্লা মেডিকেলের ব্যচম্যটের সাথে হোটেলে সেক্সের ছবি শতশত ছবি। আমিতো বেচে থেকেও মৃত হয়ে গেলাম। তারপর ক্ষমা চাইল শবে কদরের রাতে কান্না করে পা ধরে আর কখনো এমন হবেনা। আমিও ক্ষমা করে দিয়ে ১বছর ভালভাবেই সংসার করলাম। তারপর ও দেশের বাইরে আমেরিকা গেল মাঝখানে একবার ঈদ পালন করতে আসল ,সেপ্টেম্বরে ২০১৮ আবার চলে গেল ইউএসএমএলই এর প্রিপারেশন নিচ্ছিল সাথে ফেব্রুয়ারীতে ২০১৯ এ আমার ইউএস এ যাওয়ার কথা। জানুয়ারী ২০১৯ জানতে পারি ও রিগুলার ক্লাবে যাচ্ছে মদ খাচ্চে প্যটেল নামে এক ছেলের সাথে রাত কাটাচ্ছে । আমি বারবার বলছি আমাকে ভাল না লাগলে ছেড়ে দাও কিন্তু চিট করনা মিথ্যা বলনা। আমার ভালবাসা সবসময় ওর জন্য ১০০% ছিল।আমি আর সহ্য করতে পারিনি ।আমাদের দেশেতো ভালবাসায় চিটিং এর শাস্তি নেই। তাই আমিই বিচার করলাম আর আমি চির শান্তির পথ বেচে নিলাম।তোমাদেরও বলছি কাউকে আর ভাল নালাগলে সুন্দর ভাবে আলাদা হয়ে যাও চিট করনা মিথ্যা বলনা।আমি জানি অনেকে বিশ্বাস করবেনা এত অমায়িক মেয়ে আমিও এসব দেখে ভালবেসেছিলাম।ভিতর বাহির যদি এক হত।সবাই আমার দোষ দিবে সবকিছুর জন্য তাই ব্যখ্যা করলাম।
আমার শাশুড়ী এর জন্য দায়ী এসবের জন্য, মেয়েকে আধুনিক বানাচ্ছে।একটু বেশি বানিয়ে ফেলেছে। উনি চাইলে এখনো সমাধান হত।
ও মা তুমি মাফ করে দিও তোমার স্বপ্ন পূরন করতে পারলামনা।মায়ের ভালবাসার কখনো তুলনা চলেনা।
বারবার বলছি ভাল না লাগলে আলাদা হয় যাও চিট করনা ,মিথ্যা বলনা বিশ্বাস ভাঙ্গিওনা।
হাজার হাজার ছবি আছে আরো খারাপ খারাপ দিলামনা যারা বিলিভ করবে এতেই করবে , না করলে নাই।এই ৯ বছরে বয়ফ্রেনড স্বামী স্ত্রীর মত আবার সাথে সবি করে গেল।
ও আমাকে আর কি ভালবাসল ? কিসের বিয়ে করল?
।আমি শেষ পর্যন্ত চাইছি সব চুপ রেখে সমাধান করে অকে নিয়ে থাকতে।আমার শশুড় আর শাশুড়ী কে বারবার বলছি উনারা সমাধান করতে পারত! আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমার বউ৯ টা বছর যাকে ১০০% ভালবাসছি, ওকে প্ররোচনা দিছে মইন মিথি নামে দুই ফ্রেন্ড ওর মা বাবা আমাকে মানসিক কষ্ট দিয়ে মারছে।আমাই এই বেইমানি মেনে নিতে পারিনাই।তারপর ও ভুলে আমি সুন্দর সংসার করতে চাইছি আমার শাশুড়ি শশুড় আর বউ নামের কলংক করতে দিলনাআমাকে প্রতি নিয়ত প্রেশার দিয়ে গেছে আমার বউ আমার মার নামে যা তা যা তা বলে গেছে। ।আমাকে ভাল না লাগ্লে ছেড়ে চলে যাইতে বলছি ১০০ বার।আমি বোকা ছিলাম তুমি সুখে থেক।অনেকেকে ওর ফ্যান বিলিভ করবেনা আমিঞ্জানি তবে এটাই সঠিক মরার আগে কেউ মিথ্যা বলেনা আর বাইরে থেকে মানুশের ভিতরের চেহারা বুঝা যায় না। ও সুন্দরী, পড়াই ভাল, গান পাড়ে সত্য কিন্তু ও ভাল অভিনেত্রী ভাল চিটার।যাদের ঈচ্ছা বিলিভ কবে যাদের ঈচ্ছা নাই করবেনা।তবে কাউকে ভালবেসে চিটার গিরি করনা।”