স্টোকস ‘পাবলিক প্রোপার্টি’: বোথাম
অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টে বীরত্বপূর্ণ ইনিংসের পর ‘বিশ্ব বক্স-অফিসের আকর্ষণ’ হয়ে উঠেছেন বেন স্টোকস। ইংলিশ অলরাউন্ডারকে নিয়ে জয়জয়কার চলছে ক্রিকেট বিশ্বে। তাতে যোগ দিলেন স্যার ইয়ান বোথামও। সাবেক ইংলিশ কিংবদন্তি অলরাউন্ডার মনে করেন, কখনো আগের জীবনে থাকতে পারবেন না স্টোকস।
রোববার (২৫ আগস্ট) অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেডিংলিতে অপরাজিত ১৩৫ রানের ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডকে অবিস্মরণীয় জয় এনে দেন স্টোকস। জ্যাক লিচের সঙ্গে শেষ উইকেটে টেস্ট ক্রিকেটের চতুর্থ ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৬ রানের জুটি গড়ে স্বাগতিকদের জয় এনে দেন তিনি। নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩৫৯ রান তাড়া করে জিতে ইংলিশরা।
ইংল্যান্ডকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জেতানোর পর দুর্দান্ত এই ইনিংস খেলে ইতোমধ্যে বীর খেতাব পেয়ে গেছেন স্টোকস। ২৮ বছর বয়সী তারকাকে কেউ কেউ ‘স্যার’ ডাকাও শুরু করে দিয়েছেন। ১৯৮১ সালে হেডিংলিতে অ্যাশেজে তেমনই এক ইনিংস খেলেছিলেন বোথাম। নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে ৬৩ বছর বয়সী সাবেক অলরাউন্ডার জানালেন, সেই ম্যাচের পর কিভাবে তার জীবন পাল্টে গিয়েছিল।
দ্য টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্যার বোথাম বলেন, ‘এটা রাতারাতি আমার জীবন পাল্টে দিয়েছিল আমি মনে করি, স্টোকসের জীবনও একই রকম হবে। তার কোনো ব্যক্তিজীবন থাকবে না।’
বোথাম মনে করেন, স্টোকস ‘স্পেশাল ওয়ান’ এবং দীর্ঘতম ফরম্যাটের সেরা অলরাউন্ডার। ৬৩ বছর বয়সী সাবেক ইংলিশ অলরাউন্ডার আরো বলেন, ‘স্টোকস পাবলিক প্রপার্টি তবে দীর্ঘ মেয়াদে খেলে যাওয়ার জন্য এটিই (টেস্ট) তার সেরা জায়গা। এটিই তাকে জীবনে সফলতা এনে দিবে। তার জীবন কাটবে পুরস্কারে, যা তার প্রাপ্যও এবং এখনই সে বিশ্ব বক্স-অফিসের সেরা আকর্ষণ।’
অ্যাশেজের তিন ম্যাচ শেষে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফিরেছে ইংল্যান্ড। প্রথম টেস্ট জিতেছে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় টেস্ট ড্র হয়। তৃতীয় টেস্টে স্বাগতিক ইংলিশরা জয় পায় এক উইকেটে। সিরিজের চতুর্থ টেস্টে শুরু হবে ০৪ সেপ্টেম্বর, ওল্ড ট্রাফোর্ডে।