স্কুল-কলেজ বন্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলে সরকার ব্যবস্থা নেবে
স্কুল-কলেজ বন্ধের মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
পাশাপাশি করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি নেই বলেও তিনি জানান।
শনিবার (১৪ মার্চ) করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় বিষয়ে আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণের আগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলন শেষে তিনি বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নেন এবং মানুষের হাতে লিফলেট তুলে দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্কুল-কলেজ বন্ধের কথা উঠেছে। সরকার করোনা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বিষয়টি আমাদের চিন্তা-ভাবনা নেই তা নয়। সে ধরনের কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্কুল-কলেজ বন্ধ করাসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে সরকার।
তিনি বলেন, বিশ্বের ১২৮টি দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভাইরাসে বৃটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী, অষ্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীরা আক্রান্ত হয়েছেন। চীনের যেখান থেকে শুরু হয়েছিল তারা সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণে করা হয়েছে। প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি নেই। আমাদের দেশের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ইতালিতে যে তিনজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল, তারা এখন সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সরকারের উপর আস্থা রাখুন। প্রতিনিয়তই সরকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
আমরা মুজিববর্ষ উদাযাপন ও করোনা ভাইরাস মোকাবিলার প্রস্তুতিও নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারত যে যৌথ উদ্যোগের প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে বাংলাদেশ রাজি আছে।
এ সময় এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সব বিষয়ে সরকারের উপর দোষ চাপানোর কৌশলের রাজনীতি করছে। করোনার মতো রাজনৈতিক ভাইরাস বিএনপির অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে। তাদের উচিত আগে নিজেদের ঘরের করোনা দূর করা। সরকারের দোষারোপের রাজনীতি পরিহার করা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।