December 21, 2024
খেলাধুলা

সৌম্য-লিটন ঝড়ে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু টাইগারদের

ক্রীড়া ডেস্ক

জিম্বাবুয়েকে একমাত্র টেস্ট ও তিন ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের পর দুই টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও দাপুটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪৮ রানের জয় নিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে টাইগাররা। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়টি ছিল ৪৩ রানের। ২০০৬ সালে খুলনায় এই জয় পেয়েছিল টাইগাররা।

বাংলাদেশের দেওয়া ২০১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯ ওভারে ১৫২ রানে থামে জিম্বাবুয়ে। এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন দাশ ও সৌম্য সরকারের ঝড়ো ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০০ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে বাংলাদেশের এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে ব্রেন্ডন টেইলরকে (১) হারায় জিম্বাবুয়ে। শফিউল ইসলামের বলে সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এ ওপেনার। এরপর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি ক্রেইগ আরভিনের ইনিংসও। মোস্তাফিজুর রহমানের এলবিডবিøউ’র ফাঁদে পড়ে ব্যক্তিগত ৮ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

পরে ওপেনার টিনাশে কামুনহুকামউই (২৮) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বলে দ্রæত ফিরে যান ওয়েসলি মাধেভেরে (৪)। ২০ বছর বয়সী স্পিনার নিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিকার বানান অধিনায়ক শন উইলিয়ামস (২০) এবং টিনোটেন্ডা মুতোমবোজিকে (২)। এর আগে চাপের মুখে ফেরেন সিকান্দার রাজা (১০)।

পরে উইকেটরক্ষক রিচমন্ড মুতুমবামি ও ডোনাল্ড তিরিপানো স্কোরটা বাড়ানোর চেষ্টা করেন। তবে দুজনই ১৩ বলে ২০ রান করে বিদায় নেন। শেষ উইকেট হিসেবে কার্ল মাম্বাকে (২৫) নিজের তৃতীয় শিকার বানিয়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংসের ইতি টানেন মোস্তাফিজ। ব্যক্তিগত ২ রানে অপরাজিত ছিলেন ক্রিস এমপোফু।

বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। সমান উইকেট নিয়ে আমিনুল ৩ ওভারে খরচ করেছেন ৩৪ রান।

এর আগে সোমবার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড় তুলেন তামিম ইকবাল ও লিটন। তাদের ৯২ রানের ভয়ঙ্কর উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মাধেভেরে। ৩৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ রানে সাজঘরে ফেরেন তামিম।

সতীর্থকে হারালেও ৩১ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন লিটন। তবে ফিফটির পর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি তার ইনিংস। ৩৯ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৯ রান করে নিয়ে রাজার বলে এলবিডবিøউ’র ফাঁদে পড়েন তিনি।

তামিম-লিটন ফিরলেও বাংলাদেশের রানের চাকা সচল রাখেন সৌম্য ও মুশফিকুর রহিম। ৮ বলে ২ ছক্কায় ১৭ রান করে ক্রিস এমপোফুর বলে সাজঘরে ফেরেন মুশি। তবে ঝড়ো ব্যাটিং চালিয়ে যান সৌম্য। ইনিংসের শেষ পযর্ন্ত ব্যাট করে তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। তারমধ্যে ইনিংসের শেষ দুই বলে দুই ছক্কা মেরে বাংলাদেশকে দলীয় ডাবল সেঞ্চুরি এনে দেন তিনি। ৩২ বলে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৬২ রানে অপরাজিত ছিলেন সৌম্য। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অপরাজিত ছিলেন ১৪ রানে।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *