সৌম্য ঝড়েও জিততে পারলো না কুমিলা
ক্রীড়া ডেস্ক
সৌম্য সরকারের ঝড়ো ইনিংসেও জয় পেল না কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। তার হার না মানা দুর্দান্ত ইনিংসের পরও ১৫ রানে জয় পায় রাজশাহী রয়্যালস। কুমিল্লার বাকিরা যদি আরও একটু হাল ধরে খেলতে পারতেন, তবে হয়তো জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারতো ডেভিড মালানের নেতৃত্বে দলটি।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ২৩তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় রাজশাহী রয্যালস ও কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা রাজশাহী শোয়েব মালিকের ঝড়ো ব্যাটে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায়। তবে সৌম্যর ঝড়ো ৮৮ রানের ইনিংসের পরও ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানের বেশি করতে পারেনি কুমিল্লা।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলতে নামে দু’দল। যেখানে ১৯১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ২৯ রানের মাথায় দুই টপঅর্ডার রবিউল ইসলাম রবি ও মালান বিদায় নেন। স্টিয়ান ভ্যান জাইলও (২১) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে সাব্বির রহমানের সঙ্গে ৫২ রান করে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান সৌম্য। কিন্তু সাব্বির ২৩ বলে ২৫ করে মোহাম্মদ ইরফানের বলে আউট হন। তবে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা সৌম্য ৪৮ বলে ৮৮ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৬টি ছক্কা।
রাজশাহী বোলারদের মধ্যে রাসেল, ইরফান, ফরহাদ রেজা ও শোয়েব মালিক একটি করে উইকেট পান। টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করেন রাজশাহীর দুই ওপেনার লিটন দাশ ও আফিফ হোসেন। ৬.২ ওভারে ৫৬ রান তোলেন তারা। তবে লিটন ১৯ বলে ২৪ রান করে সানজামুল ইসলামের বলে আউট হন। আর সৌম্য সরকারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে আফিফ ৩০ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৩ রান করেন।
তবে তৃতীয় উইকেটে নামা শোয়েব মালিক শুরু থেকেই মারমুখী ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ৩৮ বলে ৬১ রানে ঝড়ো ইনিংস খেলে রান আউট হন। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায়। আর শেষ দিকে অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল ২১ বলে ৩৭ করলে বড় সংগ্রহের দেখা পায় রাজশাহী। অপরাজিত ইনিংসে রাসেল ৪টি বিশাল ছক্কা হাঁকান। কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে মুজিব উর রহমান, সানজামুল ও সৌম্য একটি করে উইকেট পান।