November 26, 2024
খেলাধুলা

সৌম্যের ঝড়ো ফিফটিতে কুমিল্লার দুর্দান্ত জয়

ক্রীড়া ডেস্ক

সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে জয়ের জন্য কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ১৫ রান। স্ট্রাইকে এসে এবাদত হোসেনের পরপর দুই বলে চেষ্টা করেও কোন রান করতে পারেননি সৌম্য সরকার। তবে তৃতীয় বলে সোজা ব্যাট চালিয়ে চার মারলেন। এর পরের বলে অফসাইডে হাঁকালেন ছক্কা। তাতেই জয়ের নিঃশ্বাস দূরত্বে চলে আসে কুমিল্লা।

শেষ ওভারে ৪ রান দরকার ছিল কুমিল্লার। আর ফিফটির জন্য সৌম্যের প্রয়োজন ছিল ১ রান। তার জন্য দর্শকদের বেশিক্ষণ অপেক্ষায় রাখলেন না তিনি। জনসন চার্লসের প্রথম বলেই চার মেরে এক সঙ্গে ফিফটি ও কুমিল্লার জয় এনে দেন সৌম্য।

২৬ বছর বয়সী এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের ঝড়ো ইনিংসে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ৩৫তম ম্যাচে ৫ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে সিলেটকে হারিয়েছে কুমিল্লা। আন্দ্রে ফ্লেচারদের দেওয়া ১৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৪২ রান করে ডেভিড মালানের দল।

শট খেলার পথে সৌম্য: ছবি-শোয়েব মিথুনএখন পযর্ন্ত এক জয়ে ২ পয়েন্ট পাওয়ায় বিপিএলের শেষ চারে যাওয়ার স্বপ্নটা আগেই ভেঙে গেছে সিলেটের। অন্যদিকে আশা বাঁচিয়ে রাখতে জয় দরকার ছিল কুমিল্লার। মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) ঢাকা পর্বে ফিরেই শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে নিয়মরক্ষার ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আরেকবার ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ফ্লেচারের দল।

শুরুটা দুর্দান্ত করলেও কুমিল্লার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ঝড় তুলতে পারেননি সিলেটের কেউ। ফ্লেচার ২২, আব্দুল মজিদ ৪০, জনসন চার্লস ২৬, মোহাম্মদ মিঠুন ১৮ ও জীবন মেন্ডিসের ২৩ রানে ভর করে ৫ উইকেটে ১৪১ রান করে সিলেট। সমান ২ রানে অপরাজিত ছিলেন নাজমুল হোসেন মিলন ও সোহাগ গাজী।

ব্যাটিংয়ে বড় লক্ষ্য দাঁড় করাতে না পারলেও বোলিংয়ে অবশ্য জ্বলে ওঠে সিলেট। স্কোরবোর্ডে ২ রান যোগ হতেই ওপেনার ফারদিন হাসানকে (১) হারায় কুমিল্লা। এরপর দলীয় ৩২ রানে ওপেনার উপুল থারাঙ্গা (৪) ও উইকেটরক্ষক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে (১১) হারিয়ে বিপদে পড়ে তারা। শুরুর তিন উইকেটই তুলে নেন নাঈম হাসান।

দলের বিপর্যয়ে হাল ধরেন অধিনায়ক মালান ও সৌম্য। দুজনে গড়েন ৭২ রানের জুটি। ৪৯ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় মালান ফিরলেও ডেভিড ওয়াইস (১৩) ও আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলীকে (০) সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন সৌম্য।

ফিনিশিংটা সৌম্যের হাত দিয়ে হলেও বিপর্যয়ের মুখে লড়াই করার জন্য ম্যাচ সেরা হয়েছেন মালান।  এই জয়ে ১০ ম্যাচে ৫ জয় ও ৫ পরাজয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার পঞ্চম স্থানে আছে কুমিল্লা। ১২ ম্যাচে ১ জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে সবার শেষে সিলেট।

 

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *