সৌদিতেও মসজিদে হবে না, ঘরে তারাবি পড়ার অনুরোধ
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে এবার রমজানে সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশে তারাবির নামাজ মসজিদে না পড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের মুসলমানদেরও ঘরে বসে তারাবির নামাজ ও রমজানে ইবাদত করার অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ঢাকা বিভাগের ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা দেখেছেন- সৌদি আরবে, সেখানে পর্যন্ত মসজিদে নামাজ, জমায়েত হওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি তারাবির নামাজও সেখানে হবে না, সবাই ঘরে বসে পড়বে। খুব সীমিত আকারে সেখানে করছে, তারা কিন্তু নিষেধ করে দিয়েছে।
‘ঠিক এভাবে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, এমনকি ভ্যাটিক্যান সিটি থেকে শুরু করে সব জায়গায় এভাবে তারা সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে। নিজেকে সুরক্ষিত রাখা অন্যকে সুরক্ষিত করা। এখান থেকে আমাদেরও শিক্ষার বিষয় আছে।’
রমজানে ঘরে বসে তারাবির নামাজসহ ইবাদত করার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারাবির নামাজ, যেহেতু সৌদি আরবের মসজিদে করছে না বা অন্যান্য দেশেও হচ্ছে না, আমাদের এখানেও ইসলামিক ফাউন্ডেশন ইতোমধ্যে কতগুলো নির্দেশনা দিয়েছে। সেটা আপনারা মেনে ঘরে বসে তারাবি পড়েন, নিজের মনের মতো করে পড়েন।
‘আল্লাহকে ডাকতে হবে, ইবাদত করতে হবে। সেটা আপনি আপনার মতো করে যত ডাকতে পারবেন, আল্লাহ সেটাই কবুল করবেন। কাজেই সেগুলো আপনারা করবেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মসজিদে না গিয়ে নিজের ঘরে বসে নামাজ পড়া; কারণ আল্লাহর ইবাদত, যেকোনো জায়গায় বসে ইবাদত করতে পারেন। এটাতে আল্লাহর কাছে সরাসরি আপনি করবেন। বরং এখন আল্লাহর কাছে ইবাদত করার ভালো একটা সুযোগ এসেছে।
‘অযথা মসজিদে গিয়ে কেউ সংক্রমিত থাকলে, সে অন্য কাউকে সংক্রমিত করবে। আপনার নিজের হলে অন্যকে করবেন। এটা কিন্তু করবেন না দয়া করে। এ বিষয়টা সকলে মেনে চলবেন। নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন, অন্যকেও সুরক্ষিত রাখুন।’
সামনে রমজান মাসে পণ্য পরিবহন বা খাদ্য-সামগ্রীর যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সে জন্য সরকার যথেষ্ট ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় না যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা সংক্রমিত হয়, দেখা যাচ্ছে, বাইরে থেকে কেউ আসছে, তারপর সংক্রমিত হচ্ছে। যাদের মধ্যে এতটুকু সন্দেহ আছে; বা কেউ কোথাও, যেখানে ভাইরাসে আক্রান্ত, সেই এলাকা, সেই পরিবার থেকে অন্য কোথাও আপনারা যাবেন না। গেলে পরে আপনি অন্যকে সংক্রমিত করতে পারেন।
‘সেজন্য সবাইকে এভাবে যোগাযোগ, যাতায়াতটা বন্ধ রাখতে হবে। অনেক জায়গায় দেখেছি, সবকিছু ভালো ছিল, সেখানে কেউ সংক্রমিত ছিল না। যেই নারায়ণগঞ্জ থেকে অথবা ঢাকা থেকে বা শিবচর থেকে বা মাদারীপুর বা শরীয়তপুর থেকে এ রকম কেউ চলে গেলো বা ইতালি থেকে যারা আসলো বা অন্য জায়গা থেকে আসলো, চলে গেলো এরপর সেখানে প্রার্দুভাব দেখা গেলো।’