সোমবার কাজে ফিরছেন জনসন: ডাউনিং স্ট্রিট
মহামারী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে তিনরাত হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে কাটানোর পর থেকে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া জনসন সোমবার দায়িত্বে ফিরছেন বলে শনিবার ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সরকারের দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পরপরই ৫৫ বছর বয়সী জনসনকে লকডাউনের কারণে বিপর্যয়ে পড়া অর্থনীতি নিয়ে তীব্র চাপ সামলাতে হবে।
বিশ্বজুড়ে মহামারী সৃষ্টি করা নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জনসন মার্চের শেষদিকে যুক্তরাজ্যজুড়ে লকডাউন জারি করেছিলেন।
তারপর থেকে কোভিড-১৯ এ দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে বাড়তে শনিবার ২০ হাজার পেরিয়ে গেছে।
স্বাস্থ্য কর্মী ও সেবাদানকারীদের সুরক্ষা উপকরণ এবং করোনাভাইরাস শনাক্তে পরীক্ষা কিটের ঘাটতিসহ মহামারী মোকাবেলায় যুক্তরাজ্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে।
দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকি এড়িয়ে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করার পদক্ষেপ কী হতে পারে, এ নিয়েও জনসনের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাবকে সাংবাদিকদের একের পর এক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
শনিবার ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাগরিকদের লকডাউনের নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করেছেন, কিন্তু দেশটির অনেক আইনপ্রণেতাই অর্থনীতি সচলে বিধিনিষেধ শিথিল করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। কারণ বাজেট সংক্রান্ত পূর্বাভাসে সতর্ক করে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ৩০০ বছরেরও বেশি সময়ে মধ্যে সবচেয়ে গভীর মন্দায় পড়তে পারে।
মার্চের শেষদিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় জনসনের কোভিড-১৯ ধরা পড়েছিল। ১০দিন পরও উপসর্গ থাকায় চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি লন্ডনের সেইন্ট টমাস হাসপাতালে ভর্তি হন। এই হাসপাতালেই ৬ থেকে ৯ এপ্রিল তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকতে হয়েছিল।
হাসপাতাল থেকে ছুটি মেলার পরও তিনি বিশ্রামেই ছিলেন। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ সোমবার থেকে জনসন কাজে ফিরতে পারেন বলে তার উপদেষ্টাদের বরাত দিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিল।