সোনাডাঙ্গায় আগুনে পুড়লো আর্টিস্ট ফ্যাশনের শো-রুম
দ. প্রতিবেদক
নগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ মজিদ স্বরণির রহিম প্লাজায় অবস্থিত আল-আকসা মার্কেটে একটি ফ্যাশন হাউসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৭টায় এ আগুন দেখা যায়। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
সকাল সোয়া ৭টার দিকে মোঃ বাদল খান নামে জনৈক ব্যক্তি ইজিবাইকে করে টুটপাড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি আর্টিস্ট ফ্যাশন এর শো-রুমে আগুন দেখতে পান। তিনি সাথে সাথে ৯৯৯ ফোন দেন। আগুন লাগার আধাঘন্টা পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আগুনে তীব্রতা অনেক ছিল। দোকানের সাইনবোর্ডে কারও ফোন নম্বর না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
আর্টিস্ট ফ্যাশন এর ম্যানেজার মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিয়ম অনুযায়ী দোকান বন্ধ করা হয়। সকাল পৌনে ৮টায় তাকে ফোন করা হয় যে দোকানে আগুন লেগেছে। তিনি সাথে সাথে দোকানের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এসে দেখেন সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রতিদিন নিয়ম অনুযায়ী মার্কেটের নিরাপত্তায় নিয়োজিত নিরাপত্তারক্ষীর কাছে দোকান বুঝিয়ে দিয়ে দোকান কর্মচারিরা বাড়ি যান। কিন্তু সকাল থেকে তাকে এখানে খুুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আগে ফোন দিলে দোকানের এত ক্ষতি হতো না। নগদ টাকাসহ প্রায় কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আর্টিস্ট ফ্যাশন শো রুমের পাশের দোকান মালিক সাইদুর রহমান জানান, সকালে সংবাদ পেয়ে দোকানে ছুটে আসেন তিনি। মোটরসাইকেলসহ শো-রুমের অন্যান্য মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ আশপাশের এলাকায় চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। একই সাথে বিদ্যুতের সংযোগও বিছিন্ন করে দেওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে চারটি ইউনিট ও আমিসহ মেডিকেল টিম মিলিয়ে ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। কাপড়ের শো-রুম ছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও ধোয়া ছিল। যে কারণে সম্পূর্ণ নির্বাপনে সময় লেগেছে। সকাল ১১ টার দিকে আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপন করা সম্ভব হয়।
খুলনা সদর ফায়ার সার্ভিস অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তা সাঈদুজ্জামান জানান, পৌনে ৮টায় সংবাদ পেয়ে পাঁচ মিনিট পর এখানে এসেছেন তারা। অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত তদন্ত না করে বলা সম্ভব নয়। বয়রা ও খুলনা সদরের মোট ৬টি ইউনিট একসাথে আগুন নেভানোর কাজ করেছে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আগুন ছড়াতে পারেনি বলে তিনি আরও জানিয়েছেন।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়