সৈন্যদের প্রাণহানি বৃথা যাবে না: মোদি
হিমালয় অঞ্চলের লাদাখের বিতর্কিত সীমান্তে চীনা সৈন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর ২০ সদস্যের প্রাণহানি বৃথা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, সোমবার লাদাখ অঞ্চলে চীনাদের সঙ্গে লড়াইয়ে আমাদের সৈন্যদের প্রাণহানি ভারতকে গর্বিত করবে।
সোমবার রাতে লাদাখ সীমান্তে চীনা ও ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ ভারতীয় সেনা সদস্য নিহত হন। কোনও ধরনের গোলাবারুদের ব্যবহার না হলেও ব্যাট, বাঁশের লাঠি নিয়ে দুই পক্ষের সৈন্যরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় একে অপরকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপও করে।
সংঘর্ষে চীনা সৈন্য হতাহত হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও তথ্য জানায়নি বেইজিং। তবে ভারতীয় সরকারি সূত্রগুলো দাবি করেছে, লাদাখের ওই সংঘর্ষে চীনের অন্তত ৪০ সৈন্য হতাহত হয়েছে।
গত ৪৫ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম এ ধরনের ভয়াবহ প্রাণঘাতী সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে উভয় দেশের সৈন্যরা। এই সংঘাতের জন্য পরস্পরকে দায়ী করেছে পারমাণবিক অস্ত্রধারী চিরবৈরী এ দুই প্রতিবেশী।
ভারতের অভিযোগ, লাদাখের একটি এলাকার সীমান্ত পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিল চীন। এ সময় বাধা দিতে গেলে দুই দেশের সৈন্যদের মাঝে সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে চীনা কর্মকর্তাদের ওপর ভারতীয় সৈন্যরা প্রথমে হামলা করেছে বলে পাল্টা অভিযোগ তুলেছে বেইজিং।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উভয় দেশের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা লাদাখে বৈঠকে বসেন। এই সংঘাতের ব্যাপারে প্রথমবারের মতো টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ভারত শান্তি চায়। কিন্তু উসকানি দেয়া হলে ভারত যেকোনও পরিস্থিতিতে উপযুক্ত জবাব দিতে সক্ষম।
তিনি বলেন, চীনাদের সঙ্গে লড়াই করে আমাদের সৈন্যরা মারা গেছেন। আমাদের দেশ এটার জন্য গর্বিত। মোদি বলেন, তিনি জাতিকে আশ্বস্ত করতে চান যে, সৈন্যদের প্রাণহানি বৃথা যাবে না। আমাদের কাছে দেশের ঐক্য এবং সার্বভৌমত্ব সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
লাদাখের বিতর্কিত গালওয়ান উপত্যকায় সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতীয় সৈন্যরা চীনা ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছে বেইজিং। বুধবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তারা পরবর্তী যেকোনও ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে চায়। তবে এ ব্যাপারে আর কোনও বিস্তারিত তথ্য দেয়নি এই মন্ত্রণালয়।