November 24, 2024
ফিচার

সেলফি বেচে কোটিপতি তরুণ!

স্মার্টফোনের একটি বড় সুবিধা হচ্ছে নিজেই নিজের ছবি তোলা যায়। একে বলা হয় সেলফি। একটু কঠিন ভাষায় বলতে গেলে, নিজস্বী বা সেলফি হলো আত্ম-প্রতিকৃতি আলোকচিত্র বা দল আলোকচিত্র। যা সাধারণত হাতে-ধরা ডিজিটাল ক্যামেরা বা ক্যামেরা ফোন ব্যবহার করে নেওয়া হয়।

মোবাইলের সামনে থাকা ক্যামেরা দিয়ে অন্যের সাহায্য ছাড়াই ছবি তুলতে পারেন যে কেউ। যে কোনো সময় বিভিন্ন ধরনের ভঙ্গিমায় সেলফি তুলতে পছন্দ করেন অনেকে।

কোথাও বেড়াতে গেলেন কিংবা কোনো পোশাক পরেছেন। একটি সেলফি তুলে দেখে নিলেন নিজেকে কেমন লাগছে দেখতে। আবার কোনো নতুন খাবার চেখে দেখার আগে সেটির সঙ্গে সেলফি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন। বেশিমাত্রায় সেলফি তোলার প্রবণতা অনেককে বিপদেও ঠেলে দিয়েছে। তবে এর জন্য কেউ কোটিপতি হতে পারেন তা কখনো ভেবে দেখেছেন?

হ্যাঁ, এমনই ঘটনা ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ার জাভার বাসিন্দা তরুণ সুলতান গুস্তাফ আল ঘোজালির সঙ্গে। নিজের সেলফি বিক্রি করে মাত্র পাঁচদিনে কোটিপতি বনে গেছেন এই তরুণ। অবাক হলেও ঘটনা সত্যি।

মানুষের শখের শেষ নেই। কারও যদি শখ হয় কয়েন জমানো, কারওবা লিপস্টিক সংগ্রহ। তেমনি ২২ বছর বয়সী এই তরুণের শখ হচ্ছে সেলফি তোলা। ঘোজালি গত পাঁচ বছর ধরে প্রতিদিন একটি করে সেলফি তুলেছেন। ভিডিও করার আগে নিজেকে দেখার জন্যই মূলত তিনি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সেলফি তুলতেন।

এই শখই তাকে একদিন কোটিপতি বানিয়ে দেবে তা তিনি নিজেও জানতেন না। পাঁচ বছর পর এখন তার সেলফিগুলো লাখ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মূলত সেলফিগুলোকে এনএফটিতে রূপান্তরিত করার পর সেগুলো বিক্রি করে কোটিপতি বনে গেছেন তিনি।

ঘোজালি ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তার কম্পিউটারের সামনে বসে প্রতিদিন তার ছবি তুলতেন। ঘোজালি তার সেলফি বিক্রি করতে শুরু করেন এ বছরের ৯ জানুয়ারি থেকে। মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে সেলফি বিক্রি করে কোটিপতি হয়ে যান তিনি।

ঘোজালির এক হাজারের মতো ছবি বিক্রির জন্য পোস্ট করেন। প্রতিটির মূল্য নির্ধারণ করেছিলেন মাত্র ০.০০০০১ ক্রিপ্টোকারেন্সি ইথার (তিন ডলার)। তবে হঠাৎ করেই তার ছবি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এরপরই তার ছবির দাম হু হু করে বেড়ে যায়।

ঘোজালি নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে, তার ছবি মানুষ এত দাম দিয়ে কিনছে। তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন, কোনো সংগ্রাহক তার সেলফি সংগ্রহ করলে সেটা মজার একটা জিনিস হবে। তারপরও তিনি কখনই ভাবতেই পারেন নি কেউ তার সেলফি কিনতে চাইবে।

আর এ কারণেই তিনি সেগুলোর দাম মাত্র তিন ডলার রেখেছিলেন। কিন্তু পরের দিন চাহিদা বেড়ে যাওয়ার পর একেকটি সেলফি থেকে ০.২৪৭ ইথার (৮০৬ ডলার) দাম পাওয়া যায়। মাত্র পাঁচ দিনে চার শতাধিক মানুষ তার অভিব্যক্তিহীন ছবি কিনেছে।

সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, ঘোজালির সেলফি বাবদ মোট আয়ের পরিমাণ ১০ লাখ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। তবে ঘোজালি এখনো তার বাবা-মাকে বলার সাহস পাননি যে তিনি এতো টাকা কীভাবে আয় করছেন। তারাও ভেবে পাচ্ছেন না ঘোজালি কোথায় পেল এত টাকা।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *