সেরেনার কান্নাভেজা বিদায়
ক্যারিয়ারের শেষটা রাঙাতে পারলেন না সেরেনা উইলিয়ামস। নিউইয়র্কে এক রোমাঞ্চকর রাতে আজলা টমলজানোভিকের কাছে হেরে কান্নাভেজা চোখে বিদায় নিলেন টেনিসের জীবন্ত কিংবদন্তি।
ইউএস ওপেন শুরুর আগেই সেরেনা জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই আসর দিয়েই বিদায় নেবেন ৪১ বছর বয়সী তারকা। প্রতিটি ম্যাচ হতে পারে শেষ, তাই তার প্রতি ম্যাচেই গ্যালারিভর্তি দর্শকের উপস্থিতি ছিল। সেই বিদায়টা যে এত জলদি হয়ে যাবে, তা হয়তো সেরেনা-ভক্তরা ভাবতেও পারেননি। কিন্তু সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় তার শিরোপা জেতার সম্ভাবনাও খুব একটা ছিল না।
তৃতীয় রাউন্ডে আজলার কাছে ৭-৫, ৬-৭ (৪-৭) ও ৬-১ গেমে হেরে চোখভর্তি জলে গ্যালারির দর্শকদের উদ্দেশে হাত নাড়ালেন সেরেনা। সেই সঙ্গে শেষ হলো সর্বকালের অন্যতম সেরা টেনিস তারকার পেশাদার ক্যারিয়ার। ২৭ বছরের ক্যারিয়ারে ২৩টি মেজর সিঙ্গেলস জিতে আগেই ইতিহাসে ঠাই করে নিয়েছেন তিনি। ফলে তার চাওয়ার তেমন কিছু ছিলও না এবার।
প্রথম দুই সেট পর্যন্ত দারুণ লড়াই উপহার দিয়েছেন সেরেনা। সাবেক নাম্বার ওয়ান পাঁচটি ম্যাচ পয়েন্ট সেভ করেছিলেন। কিন্তু ষষ্ঠবারে আর পারলেন না। এমন ম্যাচে ফলাফল কোনো প্রভাব ফেলার কথা নয়। দর্শকরাও তাই আজলার জয় নিয়ে মোটেই উচ্ছ্বসিত ছিলেন না। বরং তাদের সব নজর সেরেনার ওপর। ম্যাচ শেষে তিনি যখন হাত নাড়াচ্ছিলেন, তখন বিখ্যাত পপ সঙ্গীতশিল্পী টিনা টার্নারের ‘সিম্পলি দ্য বেস্ট’ গানটি সাউন্ড সিস্টেমে বাজছিল; দর্শকরাও সেই গানে কণ্ঠ মেলাতে থাকেন। ২৪ হাজার দর্শকের সবাই দাঁড়িয়ে বিদায়ী অভিবাদন জানালেন। ১৯৯৯ সালে যখন প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতেন সেরেনা, সেই স্মৃতি যেন ফিরে এলো আর্থার অ্যাশে স্টেডিয়ামে।
এদিকে সেরেনার কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, এই সপ্তাহে তার যে পারফরম্যান্স তাতে ফেরার কোনো সম্ভাবনা আছে কি না। জবাবে সেরেনা জানান, তিনি ধীরে ধীরে ছন্দ ফিরে পাচ্ছিলেন। বছরের শুরুর দিকেই কোর্টে ফিরলে ভালো হতো বলে কিছুটা আফসোস ঝরে পড়লো। তবে ফেরার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিলেন না তিনি। এমনকি নিজের মুখে অবসরের কথাও উচ্চারণ করেননি ১৯৯৫ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে পেশাদার টেনিসে নাম লেখানো এই সুপারস্টার।