November 25, 2024
জাতীয়লেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের প্রথম পাতাল রেলের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে (ডিএমটিসিএল)

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে মেট্রো রেল লাইন-১ বা এমআরটি-১ নামে দেশের প্রথম পাতাল রেলের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে ঢাকা মাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। যদিও চলতি বছরের জুলাইয়ে এই মেট্রো রেলের (এমআরটি) মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল।

মেট্রো রেল লাইন-১-এ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত রেললাইন যাবে মাটির নিচ দিয়ে এবং নতুনবাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত হবে উড়ালপথ।

এই উড়াল ও পাতালপথের সমন্বয়ে নির্মিত হতে যাওয়া এমআরটি-১ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। এটি হবে ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার। ২০২৬ সালের মধ্যে এর নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

বুধবার (১৫ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘এমআরটি লাইন-৬-এর অগ্রগতি ও সম্ভাবনা সংক্রান্ত সেমিনার এবং এমআরটি লাইন-১-এর লাইসেন্স হস্তান্তর’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিএমটিসিএল। অনুষ্ঠানের পর সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, আগামী অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) মধ্যে এমআরটি-১-এর মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু করা হবে। পাতাল রেলের ডিপোর মূল নির্মাণকাজ শুরুর জন্য জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তাদের অনুমতি পাওয়া গেলে কাজ শুরু হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী এই নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন। প্রথম প্যাকেজে ডিপোর ভূমি উন্নয়ন ও আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। পুরো প্রকল্প ১২টি প্যাকেজে শেষ হবে।

এদিকে আগামী ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে দেশের প্রথম মেট্রো রেল। এই মেট্রো রেল লাইন-৬-এর নির্মাণকাজের সার্বিক গড় অগ্রগতি হয়েছে ৮০ দশমিক ১০ শতাংশ।

এমআরটি লাইন-৬-এর অগ্রগতি ও সম্ভাবনা সংক্রান্ত সেমিনারে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি এমআরটি লাইনের কাজ শেষ হবে। এই ছয়টি লাইনের কাজ শেষ হলে মেট্রো রেলে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৫০ লাখ যাত্রী পরিবহন করা হবে। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে যানজট এবং এর প্রভাবে বার্ষিক প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা বর্তমান রেটে প্রায় ৩৩ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে ‘ঢাকাবাসীর জন্য এমআরটি প্রধানমন্ত্রীর উপহার’ উল্লেখ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, এই এমআরটি চালু হলে যানজট অনেকাংশেই কমে যাবে, তবে পুরোপুরি কমবে না। ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট করেই আমদের এই যানজট নিরসন করতে হবে। পরিকল্পনা প্রণয়নের সময়েই অংশীজনদের সমন্বয় হলে আরো বেশি সুফল পাওয়া যাবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে আর মাত্র ১০ দিন পরেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হবে, মাত্র ১৮০ দিন পরেই চালু হবে মেট্রো রেল এবং ছয় হাজার ৯৩৫ দিন পরে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ। মেট্রো রেল চালু হলে ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, মেট্রো রেলকেন্দ্রিক যে জীবনব্যবস্থা গড়ে উঠবে, তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *