December 22, 2024
জাতীয়

সেপ্টেম্বরের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ সভা হওয়ার আগেই মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে বুধবার (২৪ জুলাই) সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও মাল্টা সফর শেষে সকালেই দেশে ফিরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা আশা করছি সেপ্টেম্বরের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে। একবার শুরু হলে এ প্রক্রিয়া খুব তাড়াতাড়ি অগ্রসর হবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমার এ বিশ্বাসের কারণ মোটামুটি সব জায়গা থেকে খুব ভালো আশ্বাস পেয়েছি। তবে সবকিছু নির্ভর করছে মিয়ানমারের ওপর। তারাই এ সমস্যার সৃষ্টি করেছে। তারাই সমাধান দিতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের সাধারণ সভা শুরুর আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে। কারণ ওরা চায় না জাতিসংঘের সাধারণ সভায় এটা নিয়ে আমরা বকাবকি করি।’

ড. মোমেন বলেন, ‘মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করে এবং নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ জন্য রোহিঙ্গাদের অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। আমরা মিয়ানমারকে বিভিন্ন বন্ধু দেশের মাধ্যমে বলেছি, এ অবিশ্বাস দূর করার জন্য বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি সেখানে থাকা জরুরি। আসিয়ানের দেশগুলোও আমাদের এ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে দেশটির শীর্ষ নেতারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তার অঙ্গীকার করার পরই মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসতে চেয়েছে।’

শুক্রবার রাতে মিয়ানমারের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসছে। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব ইউ মিন্ট থু এ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। ড. মোমেন জানান, মিয়ানমার তাকেও নেপিদো সফরের দাওয়াত দিয়েছে।

‘আমি বলেছি অবশ্যই যাব। তবে যখন রোহিঙ্গাদের প্রথম ব্যাচ ফেরত যাবে, তারা সেখানে কেমন আছেন সেটা দেখার জন্য। তার আগে আপনারা আসেন। আপনাদের লোকদের (রোহিঙ্গা) সঙ্গে আলাপ করেন। তাদের আশ্বস্ত করেন। কারণ, কেউ কেউ বিশ্বাস করছে না। এ অবিশ্বাসের অংশ দূর করেন। আপনারা প্রথম ব্যাচ নিয়ে যান। ওরা সেখানে গিয়ে খুশি থাকলে আমি তাদের দেখতে যাব।’

মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল সম্পর্কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ওরা মূলত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করতে আসছে। আমাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে। মূলত রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গ তারা কথা বলবেন। তাদের বোঝাবেন দেশে ফেরত যেতে। রাখাইনে তারা রোহিঙ্গাদের জন্য বাড়িঘর তৈরি করেছেন। আশা করি সবকিছু ঠিকঠাকভাবে এগুবে।’

 

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *