সেই দুই ভাইয়ের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন যুবলীগ নেতা পলাশ
জয়নাল ফরাজী…
ফাহিম ও নাইম দুই ভাই। বাসা খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানাধীন ৪নং ওয়ার্ডে। কখনও ইটের ভাটায় কাজ করে, কখনও রিকশা চালিয়ে এবছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন তারা। আজ রবিবার ঘোষিত ফলাফলে দুইজনেই কৃতকার্য হয়েছে। এদের মধ্যে ফাহিম নগরীর হাজি মুহসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও নাইম আফিলগেট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। ফাহিম ৩.৩৩ ও নাইম ৪.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
এদের সাফল্যের প্রতি সম্মান জানিয়ে আজ রবিবার খুলনা মহানগর যুবলীগের আহবায়ক সফিকুর রহমান পলাশ তাদের জন্য মৌসুমী ফল ও মিষ্টি উপহার পাঠিয়েছেন। এসময় যুবলীগ নেতা পলাশ তাদের সাথে কথা বলেছেন এবং সাহস দিয়ে বলেছেন, ‘আগামী দুই বছর তোমাদের পড়াশোনার জন্য যা যা লাগবে পাবে। তোমরা মনে সাহস ও অনুপ্রেরণা নিয়ে পড়াশোনা করে যাও।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দৌলতপুর থানাধীন ৪নং ওয়ার্ডের যশোর রোডে ছোট্ট একটা বাসায় মাকে নিয়ে তারা দুই ভাই থাকেন। কখনও ইটের ভাটায় কাজ করে, কখনও রিকশা চালিয়ে সংসার চালায়। পরীক্ষার পরে রিকশা ছেড়ে এখন একটা ইজিবাইক ভাড়ায় চালায়।
তাদের বাসায় ফুল নিয়ে যাওয়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. মেহেদী হাসান রাসেল দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে বলেন, ‘ফরম ফিলাপের সময় আমেরিকা প্রবাসী বড় ভাই জিয়াউর রহমান আমার একটা স্ট্যাটাস পড়ে যোগাযোগ করে এই ছেলে দুটির টাকাগুলো সব দিয়ে সাহায্য করেন। রবিবার প্রকাশিত ফলাফলে তারা সাফল্য দেখিয়েছেন। নিজের কাছে এক অন্য রকম অনুভূতি কাজ করছে যে, এদের পাশে সামান্য একটু দাঁড়াতে পেরে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওদের বাসায় গিয়ে উপলব্ধি করেছি মানুষের শত কষ্টের মাঝেও কি অসাধারণভাবে মুখে হাসি ফোটাতে পারে। নিজের মায়ের জন্য দুই ভাই পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন পরিশ্রম ও করতে পারেন। পৃথিবীর অনেক সৌন্দর্যের মাঝেও এগুলো একটা ভিন্নরকম সুন্দর। তাদের বড় হওয়া যেন হয় সৌন্দর্যের ও সৃষ্টির জন্য আশীর্বাদ। এই দেশ একদিন এই সব ফাহিম ও নাইমদের জন্য মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।’