সেই টোলারবাগে জীবাণুনাশক ছিটালো ডিএনসিসি
করোনা সংক্রমণে লকডডাউন থাকা রাজধানীর টোলারবাগ এলাকায় জীবাণুনাশক ছিটালো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। টোলারবাগ ছাড়াও ডিএনসিসি এলাকার আওতাধীন মিরপুর-১, মিরপুর-২, গাবতলী-টেকনিক্যাল এবং উত্তরা এলাকায়ও এমন জীবাণুনাশক ছিটায় সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই জীবাণুনাশক ছিটানো হয়। ডিএনসিসির পাঁচটি ওয়াটার বাউজার দিয়ে ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত এসব জীবাণুনাশক ছিটানো হয়।
এ কাজের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা ডিএনসিসির সহকারী প্রকৌশলী ফজলে রাব্বি বাংলানিউজকে বলেন, গত রোববার থেকে ওয়াটার বাউজার দিয়ে জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। তখন থেকেই প্রতিদিন দুপুরে, ২৪ ঘণ্টা পরপর টোলারবাগ এলাকায় জীবাণুনাশক ছিটানো হয়। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় জীবাণুনাশক ছিটানো হয়।
ফজলে রাব্বি আরও বলেন, ভাইরাস সংক্রমণ রোধে উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন সড়ক, প্রতিষ্ঠানের সামনে সহ বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে এই জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। প্রতিটি ওয়াটার বাউজারের ধারণক্ষমতা ১ হাজার লিটার। প্রতিদিন ১৬ বার করে প্রতিটি ওয়াটার বাউজারের সাহায্যে ডিএনসিসির বিভিন্ন স্থানে জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। এর ফলে পাঁচটি ওয়াটার বাউজারের সাহায্যে প্রতিদিন মোট ৮০ হাজার লিটার তরল জীবাণুনাশক ডিএনসিসির প্রধান সড়ক, উন্মুক্ত স্থান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে স্প্রে করা হচ্ছে।
পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডের অলি-গলিতে হ্যান্ড স্প্রে মেশিনের সাহায্যেও তরল জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।
এদিকে জীবাণুনাশক স্প্রে করার কাজে সরেজমিনে তদারকি করতে দেখা যায় কাউন্সিলরদেরও। ডিএনসিসির-১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেওয়ান আবদুল মান্নান ওয়াটার বাউজারের কর্মীদের কাজ তদারকি করেন।
এসময় তিনি বাংলানিউজকে বলেন, টোলারবাগ এলাকার সড়কের দুই পাশে দুই ওয়ার্ড; ১১ এবং ১২। তবে এখানকার মানুষদের জীবনযাত্রা ঘেঁষাঘেঁষি। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের এদিকে সব কোয়ার্টার। এখানকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিন যাবত সড়কের ওই পাড়ে (পশ্চিম) অর্থাৎ ১২ নম্বর ওয়ার্ডে যাতায়াত। টোলারবাগে যেহেতু সংক্রমণ হয়েছে, কাজেই দুই দিকেই বিশেষ নজর দিতে হবে। পাশাপাশি নাগরিক সেবার বিভিন্ন উপাদান যেমন ফুটওভার ব্রিজ, যাত্রী ছাউনি এসব জায়গায়ও জীবাণুনাশক ছিটাতে হবে।