সুস্থ হলেও নজরদারিতে সেই চীনা রোগী
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নতুন ধরনের করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে কিছু লক্ষণ নিয়ে ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া চীনা নাগরিককে সতর্কতার জন্য পর্যবেক্ষণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
প্রাণঘাতী ভাইরাসটি নিয়ে সচেতনতা ও করণীয় বিষয়ে মঙ্গলবার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি বলেন, সর্দি-জ্বর নিয়ে ভর্তি হওয়া সেই লোকটি এখন সুস্থ। তিনি বাসায় ফিরতে চাচ্ছেন। পরে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সতর্কতা হিসেবে এখনও ওই রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে না। তার রক্ত ও শরীরের অন্য নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এখনও আসেনি। তিনি বাড়ি যেতে চাচ্ছেন। কিন্তু আমরা বলেছি, থাকুন কয়েকটা দিন।
তবে ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসা চীনের ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাস ছড়ানোর কেন্দ্র উহানের বাসিন্দা নন বলেও জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান। নিউমোনিয়ার লক্ষণযুক্ত করোনাভাইরাসে চীনে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশটি ও প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আসা সব যাত্রীদের বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্যের একটি কার্ড পূরণ করতে হচ্ছে। তবে সোমবার পর্যন্ত ২ হাজার ৮৭০ জনকে পরীক্ষা করেও কারও দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি পায়নি সরকারের রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
চীন থেকে জ্বর না নিয়ে এলেও আসার ১৪ দিনের মধ্যে যদি কারও জ্বর আসে তাহলে তাকে আইইডিসিআরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে তো বটেই, হাঁচি-কাশি থেকে বায়ুর মাধ্যমেও এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। এই ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে হাত সাবান দিয়ে ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। হাত না ধুয়ে চোখ, নাক ও মুখে তা না দিতে বলা হচ্ছে। আক্রান্তদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।
এই রোগের টিকা ও প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার না হওয়ায় প্রতিরোধেই জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে আক্রান্ত হলে জ্বর ও ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। সেই সঙ্গে প্রচুর তরল পানের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।