সুন্দরবনে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বাহিনী প্রধান আমিনুরসহ নিহত ৪
দ: প্রতিবেদক
সুন্দরবনের কয়রা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বনদস্যু আমিনুর বাহিনীর প্রধান আমিনুরসহ চার দস্যু নিহত হয়েছে। সকালে সুন্দরবনের কয়রায় র্যাব-৬ এর একটি টিমের সঙ্গে বনদস্যু আমিনুর বাহিনীর ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়। এতে বাহিনীপ্রধান আমিনুর ও সেকেন্ড-ইন-কমান্ড রফিকসহ চারজন বনদস্যু নিহত হয়েছে। এ সময় র্যাব-৬ এর দুই সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ মোহাম্মদ নুরুস সালেহীন ইউসুফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব-৬ এর সুত্রে জানা গেছে, নিহত আমিনুরের (৩৭) বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের চাঁদনীমুখা গ্রামে, রফিকের (৩৫) বাড়ি কয়রার মহেশ্বরীপুর গ্রামে, মনিশ সাহার (৩৪) বাড়ি বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে, আর আক্তারুলের (৩৪) বাড়ি খুলনার ফুলতলায়। বন্দুকযুদ্ধের পর সুন্দরবনের কয়রা খাল সংলগ্ন এলাকা থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-৬ এর স্পেশাল কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. তোফাজ্জেল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, বনদস্যু আমিনুর বাহিনীর সদস্যরা সুন্দরবনের শিবসা নদীর কয়রা খালে নৌকায় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে। এ খবর পেয়ে র্যাব সদস্যরা মঙ্গলবার ভোর রাতে ওই এলাকায় গিয়ে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে আমিনুর বাহিনীকে শনাক্ত করার পর র্যাব সদস্যরা তাদের ধাওয়া করেন। এ সময় দস্যুরা র্যাব সদস্যদের দিকে গুলি ছোড়ে। এ অবস্থায় র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়েন। অনেকক্ষণ ধরে গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে দস্যুরা পিছু হটে যায়। এরপর সেখানে চার দস্যুকে গুলিবিব্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেখানে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলা বারুদও পড়েছিল। গুলিবিদ্ধ দস্যুদের উদ্ধার করে কয়রা হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানকার চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। এই বন্দুকযুদ্ধের সময় র্যাবের সদস্য সৌরভ ও নাহিদ আহত হন। কয়রা হাসপাতালে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
তবে খুলনা মেডিকেল কলেজে নিহত মনিষ সাহা এর পরিবার দাবি করে যে মনিশ সাহাকে গত ০২ অক্টোবর খুলনার রূপসা উপজেলার আইচগাতি ইউনিয়নের বাড়োপূর্ণের মোড় এলাকার ভাড়া বাসা থেকে প্রশাসন পরিচয়ে তুলে নেয় সাদা পোশেকের কিছু লোক। এ বিষয়ে খুলনার রূপসা থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক এবং র্যাব-৬ এর পরিচালক বরাবর। মনিশের নিখোঁজের সংবাদও প্রচার হয়েছে মঙ্গলবারের খুলনার স্থানীয় পত্রিকায়। একই অভিযোগ রফিকুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদেরও একই দাবি।