সুন্দরবনে পর্যটকদের যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সুন্দরবনে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বন বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনার কথা জানানো হয় বনবিভাগের বিভিন্ন টহল ফাঁড়ি ও ট্যুরিষ্ট ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের। আর এ নিষেধাজ্ঞার কারনে সুন্দরবনের দর্শনীয় স্থান সমূহে ভীড়তে দেয়া হয়নি পর্যটকবাহি ট্যুর লঞ্চ, জালিবোট, ট্রলার ও নৌকা সমূহ। ফলে দুর দূরান্ত থেকে আগত পর্যটকরা সুন্দরবনের বনের দর্শনীয় স্থান সমূহ ভ্রমন করতে না ফেরে গন্তব্যে ফিরেছেন।
মোংলার ‘দ্যা সাউদান ট্যুরস এ্যান্ড ট্রাভেলস’র মালিক মিজানুর রহমান জানান, প্রায় এক মাস আগেই পর্যটকদের একটি দল নদী ও সাগর পথে সুন্দরবনের দর্শনীয় স্থান সমূহ ভ্রমনের তাদের কোম্পানীর লঞ্চ বুকিং করেছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে বনবিভাগের অনুমতি পাস সংগ্রহ করতে গিয়ে পর্যটক পরিবহনে বনবিভাগের নিষেধাজ্ঞার কথা জানতে পারেন।
মোংলার ‘দ্যা জারস্ ট্যুরস এ্যান্ড ট্রাভেলস’র মালিক রমজান আলী মুন্না জানান, বনবিভাগ থেকে লিখিতি নয়, মৌখিক নির্দেশনায় সুন্দরবনের দর্শনীয় স্থান সমুহে পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে দূরদূরান্ত থেকে আগত পর্যটকরা চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন।
সুন্দরবনের দর্শনীয় স্থান ও করমজল বণ্য প্রানী প্রজজন কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ আজাদ কবির হাওলাদার জানান, করোনা ভাইরাসের ঝুকি এড়াতে জনস্বার্থে আপাতত পর্যটকদের বনে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সুন্দরবনের দর্শনাীয় স্থান করমজল, হারবাড়িয়া, কটকা, চকিখালী ও হিরনপয়েন্ট এলাকা এখন পর্যটক শুন্য রয়েছে। বনবিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এ নিষেধাজ্ঞা সাময়িক সময়ের জন্য বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছেন পূর্ব বন বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ বেলায়েত হোসেন। তবে কবে নাগাদ আবারও সুন্দরবনে পর্যটকদের যাতায়াত শুরু হবে তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি তিনি।