সুন্দরবনে অবৈধভাবে নিষিদ্ধ জাল ও কীটনাশক দিয়ে মৎস্য আহরণ
খুলনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে
বিভিন্ন জাল, মাছ ও নৌকাসহ আটক ২
দ. প্রতিবেদক
সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সম্পদগুলোর মধ্যে মাছ অন্যতম। বনের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ-নদী ও খালের প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। জেলেরা অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রকার নিষিদ্ধ জাল ও কীটনাশক ব্যবহার করে মাছ আহরণ করে থাকে।
যার কারণে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে যে সমস্ত নদ-নদী ও খাল রয়েছে সে সমস্ত নদ-নদী ও খালের আহরণের উপযোগী মাছ ছাড়াও সকল মাছের রেণু, পোনার ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে। কিছু কুচক্রী জেলে মহল সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে অবৈধ কীটনাশক ব্যবহার করে সকল প্রকার মাছের রেনু, পোনার ব্যাপক ক্ষতিসহ প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট করছে।
এদিকে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্টকারী, ক্ষতিসাধনকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে খুলনা জেলা পুলিশ। কয়রা থানাধীন বাইনতলা খাশিটানা নদীর পশ্চিম পার্শ্বে অবৈধভাবে নিষিদ্ধ জাল ও কীটনাশক দিয়ে মাছ ধরার অপরাধে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন- কয়রা থানাধীন আংটিহারা গ্রামের রাজ্জাক মোড়লের ছেলে মোঃ বারী মোড়ল (৩৫) ও মোঃ আতিয়ার রহমান মোড়ল এর ছেলে মোঃ আনিসুর রহমান (২২)। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪টি ডিঙ্গি নৌকা, বিভিন্ন সাইজের ৭ ভেসাল মাছ ধরার জাল, ১টি খেপলা জাল, বিষ দিয়ে ধরা ছোট ও বড় ৭০০ কেজি চিংড়ি মাছ, ২টি প্লাষ্টিকের বিষের বোতল জব্দ করা হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়- কয়রা থানাধীন বাইনতলা খাশিটানা নদীর পশ্চিম পার্শ্বে খালের মধ্যে কিছু অসাধু ব্যক্তি কীটনাশক প্রয়োগ করে মাছ শিকার করছে। ২৯ আগস্ট দিবাগত রাতে পুলিশ সুপার এস.এম শফিউল্লাহ (বিপিএম) এর নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) জিএম আবুল কালাম আজাদ’র সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ সেখ কনি মিয়া এর নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ওই দুইজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় ৭০০ কেজি চিংড়ি, ৪টি ডিঙ্গি নৌকা, ২টি বিষের বোতল, বিভিন্ন প্রকার জাল জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ