সীমান্তের ঘটনা বিদেশি কূটনীতিকদের জানাচ্ছে সরকার
বাংলাদেশের ভূখণ্ডে গোলা নিক্ষেপসহ মিয়ানমার সীমান্তের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিদেশি কূটনীতিকদের জানাচ্ছে সরকার। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের কূটনীতিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করার পর আজ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) ডাকা হয়েছে চীন-জাপান এবং পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনীতিকদের।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আসতে শুরু করেন আসিয়ানবহির্ভূত দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ইতালি, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, স্পেনসহ অনেক দেশের কূটনীতিকরা পৌঁছেছেন পদ্মায়।
এই কূটনীতিকদের সামনে সীমান্ত পরিস্থিতি তুলে ধরছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম। সোমবার আসিয়ানের দূতদেরও সীমান্ত পরিস্থিতি ব্রিফ করেন তিনি।
সূত্র বলছে, মিয়ানমার সীমান্তের এসব ঘটনা বন্ধে কূটনৈতিক পন্থাই অবলম্বন করছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে আসিয়ান দূতদের ব্রিফিংয়ের পর এবার আসিয়ানবহির্ভূত দেশ ও সংস্থার কূটনীতিকদের ডাকা হলো।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে বান্দরবানের ঘুমধুম ঘোনারপাড়া সীমান্তে শূন্যরেখায় মর্টারের গোলা এসে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মোহাম্মদ ইকবাল (২৮) নামের এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হন। আহত হন আরও অন্তত আটজন।
এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মোকে তলব করা হয়। তিনি এলে বাংলাদেশের প্রতিবাদপত্র দিয়ে বলা হয়, মিয়ানমার থেকে কোনো মর্টারের গোলা যেন আর বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এসে না পড়ে।
এর আগে একই ধরনের ঘটনার কারণে ৪ সেপ্টেম্বর এবং ২১ ও ২৯ আগস্ট মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানায় ঢাকা।
তবে মিয়ানমার বরাবরই এ ধরনের ঘটনার দায় চাপিয়ে আসছে সেখানে সংঘাতরত আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসার ওপর। তাদের দাবি, বাংলাদেশের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট করতে এ ধরনের হামলা চালানো হচ্ছে।