সীমানার বাইরে বসবে না হাট, বিধি নিশ্চিতে থাকবে ব্যবস্থা
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সৃষ্ট সংকটের মধ্যে এবার আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীজুড়ে পশুরহাট কেন্দ্রিক স্বাভাবিক নিরাপত্তার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে বিভিন্ন ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
পশুরহাটের নির্ধারিত সীমানার বাইরে হাট বসতে দেওয়া হবে না।
ছিনতাই-জাল টাকা লেনদেন প্রতিরোধে থাকবে ব্যবস্থা। এছাড়া হাটের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, জীবাণুনাশক চেম্বার স্থাপনসহ হাটের অভ্যন্তরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী নিশ্চিত করা হবে।
শুক্রবার (২৪ জুলাই) ডিএমপি সদর দপ্তর থেকে পশুরহাট কেন্দ্রিক নানামুখী নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা জানানো হয়।
ডিএমপি জানায়, ডিএমপি ইতোমধ্যে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উৎসবমুখর ও নিরাপদ করতে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। কোরবানির পশুরহাটের ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত, রাজধানীর বিপণিবিতান, টাকা পরিবহনে মানি এস্কর্ট ব্যবস্থাসহ সব টার্মিনাল কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পশুরহাট কেন্দ্রিক আলাদা নিরাপত্তায় সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। প্রতিটি হাটে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হবে। সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হবে।
পশুরহাটে টাকা লেনদেনে মানি এস্কর্ট ব্যবস্থা থাকবে। মানি এস্কর্ট টিম হাটের কন্ট্রোলরুম ও প্রতিটি থানায় স্ট্যান্ডবাই থাকবে। হাটে জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন স্থাপন করা হবে। পশুরহাটের চৌহদ্দির বাইরে হাট বসতে দেওয়া হবে না। জাল টাকার বিস্তার রোধ ও পশুরহাটে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, পকেটমার ও অন্য অপরাধীদের তৎপরতা বন্ধ করতে কার্যকারী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পশুর বিক্রয়লব্ধ টাকা ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশ তৎপর থাকবে। পশুরহাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার নিশ্চিত করার সঙ্গে প্রবেশ মুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা ও জীবাণুনাশক চেম্বার স্থাপন করা হবে।
করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে অনলাইনভিত্তিক বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়ে পশু বিক্রির জন্য উৎসাহিত করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।