সিলেটে কমতে শুরু করেছে সবকটি নদীর পানি
সিলেটে কমতে শুরু করেছে সবকটি নদীর পানি। তবে কুশিয়ারা নদীর পানি ধীরগতিতে নামায়, এখনও কুশিয়ারা তীরবর্তী ৬ উপজেলা জকিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার উপজেলায়
বানভাসীদের পানিবন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি মিলছে না সহসাই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এখনও এসব এলাকায় ৩২৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখনও প্রায় ২৮ হাজার মানুষ অবস্থান করছেন। এছাড়াও বাকি উপজেলাগুলোর ১০০টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখনও বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন ৮ হাজার মানুষ।
এদিকে, পানি নামার গতি কম থাকায় পানিবন্দি অবস্থা দীর্ঘায়িত হচ্ছে কয়েক লাখ মানুষের। এরইমধ্যে শেষ হয়েছে সঞ্চিত খাবার। ত্রাণ সরবরাহ অপ্রতুল থাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে কষ্টে রয়েছেন বানভাসীরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য মতে, শুক্রবার (১ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে শনিবার (২ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যদিও একই সময়ে ভাটির দিকে ফেঞ্চুগঞ্জে ২ সেন্টিমিটার কমে এখনও বিপদ সীমার ৯৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া সুরমা নদির পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে
প্রবাহিত হচ্ছে। আর সিলেট পয়েন্টে পানি কমেছে ৯ সেন্টিমিটার।
অন্যদিকে প্রবল বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢল না থাকায় আবরও কমতে শুরু করেছে সারি ও ধলাই নদীর পানি।