November 29, 2024
আন্তর্জাতিক

সিরিয়ায় রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন হামলায় ‘দুই মাসে নিহত ৫৪৪’

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে বিদ্রোহীদের শেষ ঘাঁটিতে দুই মাস আগে শুরু হওয়া রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন হামলায় অন্তত ৫৪৪ জন বেসামরিক নিহত ও দুই হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো ও উদ্ধারকারীরা এসব তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বিদ্রোহী অধিকৃত ইদলিব প্রদেশ ও সংলগ্ন হামা প্রদেশের কয়েকটি অংশে ২৬ এপ্রিল থেকে বড় ধরনের অভিযান শুরু করে সিরিয়ায় সেনাবাহিনী। রাশিয়ার যুদ্ধবিমানগুলোও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। গত গ্রীষ্মকালের পর থেকে এটিই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ও তার শত্র“দের মধ্যে শুরু হওয়া সবচেয়ে বড় লড়াই।

সিরিয়ার যুদ্ধে হতাহতের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা দ্য সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটস (এসএনএইচআর) জানিয়েছে, রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ও সিরিয়ার সেনাবাহিনীর চালানো কয়েকশত হামলায় ১৩০টি শিশুসহ ৫৪৪ জন বেসামরিক নিহত ও ২,১১৭ জন আহত হয়েছে।

এসএনএইচআরের চেয়ারম্যান ফাদেল আব্দুল ঘানি রয়টার্সকে বলেছেন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ও তাদের সিরীয় মিত্ররা জেনেবুঝে বেসামরিকদের লক্ষ্যস্থল করছে এবং রেকর্ড সংখ্যক মেডিকেল স্থাপনায় বোমাবর্ষণ করেছে। নির্বিচারে বেসামরিক এলাকায় ক্লাস্টার ও আগ্নেয় বোমা নিক্ষেপের কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া ও সিরিয়ার সামরিক বাহিনী।

তাদের বাহিনীগুলো ও সিরিয়ার সেনাবাহিনী আল কায়েদার জঙ্গিদের সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধ করতে কাজ করছে বলে দাবি করেছে মস্কো। জঙ্গিরা জনবহুল এলাকা, সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় হামলা চালাচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে তারা। গত বছর রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে হওয়া অস্ত্রবিরতি চুক্তি বিদ্রোহীরা ভাঙ্গার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ তাদের।

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, উদ্ধারকারী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জানা গেছে যে রাশিয়া ও সিরিয়ার যৌথ সামরিক অভিযানে আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য বড় ধরনের বিস্ফোরক অস্ত্রের সঙ্গে ক্লাস্টার ও আগ্নেয় বোমাও ফেলা হচ্ছে, এতে জনবহুল বেসামরিক এলাকাগুলোর বিস্তৃত অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

দুই মাস ধরে চলা এই অভিযানে বহু গ্রাম ও শহর ধ্বংস হয়ে গেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দা ও উদ্ধারকারীরা অভিযোগ করেছেন। জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, নিরাপত্তার জন্য অন্তত তিন লাখ লোক তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে তুরস্কের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *